" নীরবে "

দূর আকাশে ঘন-ঘটা মেঘের আলাপন,
মনে হয় চক্র জন্ম মেঘ।
চারিদিকে অতিরিক্ত অন্ধকার;
রিমঝিম বৃষ্টির আনাগোনা,
এই কামোনার জলে বধুয়া তার শরীর নোয়ায়!
ভেজা কিশোরীর শরীরের ঘ্রানে কদমের সুবাস পাই;
চারিধারে বৃষ্টি নামে,
ভিজে যায় তরুলতা,
সহস্র বছর কাঁদে আমার কবিতার খাতা।

তোমার চোখের কোনে দেখেছি আজ,
বৃষ্টি রাশির একফোঁটা জল;
আমার ভালোবাসার রুমাল দিয়ে,
আমি চোখের জলকে প্রতিহত করেছি।

বহিছে মিদু-মন্দ হওয়া,
সেই হাওয়ায় উড়ছে তোমার কালো কেশ,
উড়ন্ত কেশ থেকে বাহির হচ্ছে কৃষ্ণচূড়ার ঘ্রান।
সাগরের বুকে ডাকে প্রতিক্ষত বান,
তোমার বুকে জেগেছে আজ ভালোবাসার উপমা,
ফুল আর পাথর জোয়ারে ভাসে।
তুমি ডেকেছ আজ আমাকে,
পদ্মার তীরে প্রেম করতে;
রেখেছি প্রজার ভালোবাসা,
সাঁঝিয়েছি ভালোবাসার সেবা ঘর।

ধোয়ায় ঘেরা কুয়াশা ছন্ন এ আকাশ,
আকাশের তারা গুলোতে নীল মেশানো;
এ আকাশের নিরাবতা শুধু তার ভালোবাসার জন্য।
আকাশ আমি ঝরিয়ে দেবো,
শুধু নিরবে তোমায় কাছে পেলে।
আর নীরব আগামী,
প্রজন্মের মাঝে বিরাজমান।



[ সারথী, ❤️ লেখা-১১.০৭.১৯৯৯ ]