নদীর ধারের কাঁশফুলগুলি
ফুটছে আগের মতই,
যতই দেখছি পিচন ফিরে
অবাক হচ্ছি ততই।
কাঁশফুলের ঐ বনে বসে
ভাবছি আমি যতই,
পুরানো দিনগুলি ছিলো কেমন!
হাসছি আমি ততই।
গীষ্মের ঐ মামার বাড়িতে
আম-কাঁঠালের মেলায়,
মেতে থাকতাম ছোট্র বেলার
সুন্দর সুন্দর খেলায়।
বর্ষাকালে বৃষ্টির বাহানায়
স্কুল দিতাম ছুটি,
ঘরে বসে লুডু খেলতাম
খেতাম ভেজে মটরশুঁটি।
শরৎকালের নদীর ধারের
নীরবে বয়ে চলা জলে,
দুপুর জুড়ে খেলতাম মোরা
নদীর জলের তরে।
হেমন্তের ঐ ফসল দিয়ে
হরেক রকমের পিঠে,
নবান্নের ঐ উৎসবে
মেতে উঠতাম সবে।
শীতকালের ঐ মিষ্টি মাখা
খেজুর গাছের রসে,
ঐ রসেই-ই পায়েশের স্বাদ
মুখে এখনো আছে লেগে।
বসন্তকালে কৌকিলের ডাকতো
কুহু কুহু তানে,
ফুলে ফুলে সাজতো গাছগুলি
কী অপরুপ ঘ্রাণে।
মেঠো পথের রাখালে গানে
যে রাস্তাটা ছিলো মুখোরিত,
আজ সেই রাস্তায় অনেক মানুষ
তবুও মনে হয় একাকিত্ব।