প্রভুর ডাকে যিনি সাড়া দেন,
অধিকার দেন হৃদয় ছেড়ে।
সত্যের পথে অবিচল,
অন্ধকারের ছায়ায় আলো জ্বেলে।
বাল্যকালে চেয়ে দেখেন,
চারপাশে মূর্তির রাজ্য।
জিজ্ঞাসু মন প্রশ্ন তোলে,
"কে প্রকৃত সৃষ্টির আজ্ঞা?"
তাঁর হৃদয়ে ঈমান জাগে,
ভয়হীন চলেন সত্যপথে।
পিতৃগৃহের মূর্তি দেখে,
বললেন তিনি শক্ত কথায়—
"এরা তো নড়তে পারে না,
শক্তিহীন, প্রাণহীন!
যে সৃষ্টি করে, সেই তো প্রভু,
কেন তবে এদের বন্দনা কেন?"
আগুনে ফেলা হলো তাঁকে,
তবু কাঁপল না তাঁর হৃদয়।
প্রভুর হুকুমে, আগুন হলো
শীতল ছায়ার পরিবেশ।
বয়সকালে পেলেন পুত্র,
ইসমাইল, আশার আলো।
আসমানি আদেশ এলো,
ত্যাগের পরীক্ষা হলো চরম।
"হে পিতা! আমায় সঁপে দাও,
প্রভুর আদেশ মানতে চাই।"
চোখের জলে পিতা ভাসেন,
কুরবানিতে তাঁর হৃদয় ছাই।
কিন্তু রহমতে রবের,
নেমে এলো স্বর্গের দান।
রক্ষা পেল ইসমাইল,
সত্যের পথে রহম মহান।
কাবার গৃহ গড়লেন তাঁরা,
পুত্র পাশে নিরলস।
সত্য, ধৈর্য, ঈমানের মূর্ত,
ইব্রাহিম (আঃ) আলোক-উৎস।
তাঁর আদর্শ চিরজীবী,
ত্যাগের মহিমা অপরূপ।
যে জন চলে তাঁর দেখানো পথে,
পাবে সে রহমতের রূপ।