জলময়ূরের নাম শুনেছ কি?
দেখতে অনেক মিষ্টি,
দেখলে তাদের চোখ সরে না
কী অপরুপ সৃষ্টি।
জলেই তাদের জীবন মরণ
জল-ই তাদের আপন,
এই জলকেই বুকে নিয়ে
কাঁটায় সারাজীবন।
তুলে ধরবো আজ এক
পুরুষ ময়ূরের গল্প,
কবিতার আকারে লিখছি তাই
কাহিনী থাকবে অল্প।
পদ্মপাতার উপর পুরুষ ময়ূর
হালকা কিছু খড়কুটো টেনে,
একটা স্ত্রী ময়ূরকে কাছে ডাকে
নিতে ভালোবাসা মেনে।
স্বল্পসময়ের বোঝা পড়ায়
যদি এক তারা,
কথা দেয় সাথে থাকবে দুজন
যতক্ষন না যায় মারা।
প্রেম করে ঘর বাধে
পুরুষ ও স্ত্রী ময়ূর,
মহামিলনের উৎসবে মেতে
থাকে না একটু দূর।
একে একে চারটি ডিম
তাদের ভালোবাসার দৌঁড়ে,
চারটি ডিম দিয়ে মা-য়ে
অন্যত্র যায় উঁড়ে।
ডিমগুলি বাবার কাছে
ফেলে রেখে পরে,
ঘর বাঁধে মা ময়ূর
অন্য কারোর তরে।
বাবা ময়ূরের দেয়া তাপে
কাটায় ২৫ দিন,
২৬ নং দিনেই তাদের
শুভ জন্মদিন।
দিন সাতের মাথায় তারা
খেতে শিখে খাবার,
ছোট পা ফেলে এগিয়ে চলে
চারদিকে বাবার।
মায়ের আদর পায়নি তারা
দেখেছে তাদের বাবাকে,
সব বিপদ নিজেই নেয়
সন্তানদের সামলাতে।
এভাবেই বাবার সাথে
কাঁটায় দুটি মাস বেশ,
সম্পর্ক চিহ্ন করে তারা
কাঁটায় তাদের জীবন নিরুদ্ধেশ।
প্রকৃতির নিয়মে তারাও একদিন
হবে যে বাবা-মা,
তারাও সেদিন বুঝবে তাদের
সন্তান হারানোর বেদনা।