স্নিগ্ধ মাটির গন্ধ মেশা, শিশির ভেজা ভোর,
গাছে গাছে দোয়েল-কোকিল তোলে মধুর সুর।
সোনার আলো ছড়িয়ে পরে ধানের ক্ষেতে,
সবুজ শ্যামল শাড়ি পরা মাটির বুকে মেতে।
নদীর জলে ঝিলমিল হাসি, ঢেউয়ে নাচে আলো,
নৌকার মাঝি গেয়ে ওঠে প্রাণের সুরের তাল।
পাখির গানে ভোরের সুরে ওঠে যখন দিন,
গাছের পাতায় বাতাস দোলে মিষ্টি মৃদু বিন।
কৃষকের ঘাম মেশে মাটির স্নেহ মাখা বুকে,
সোনার ফসলে ভরে উঠে শূন্য খালি সুখে।
বাতাসে মেশে কাঁচা ধানের অনিন্দ্য মিষ্টি গন্ধ,
নিসর্গ যেন বলছে মোদের সুখের মহাবন্ধ।
বটের ছায়ায় জোড়া দুটি পাখি তুলে প্রণয় গান,
ছায়া ঘেরা পাড়ার বটতলায় চলে খেলার প্রাণ।
সাঁঝের বেলা রাঙা আকাশ লালচে রঙে রাঙে,
পাখির দল ফিরে আসে ঘরে ডানায় সন্ধ্যা টানে।
জোছনা রাতে নিঝুম পল্লী চাঁদের আলোয় ভাসে,
নদীর ঢেউ তালে তালে রূপের কথা হাসে।
মন হারিয়ে যায় যে গ্রামে, শান্তির সুধায় ভরা,
ওই যে আমার মায়ের কোলে, ভালোবাসার ধরা!