সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে, আজ রক্তিম ঢেউ,
হৃদয়ের কান্না মিশে, ফিলিস্তিনের কেউ।
হাজার পায়ের ধ্বনি, এক সুরে বাঁধা,
মুক্তির আহ্বানে, গাজার কথা কাঁদা।

‘মুক্ত করো ফিলিস্তিন’—আকাশ ফাটে কথায়,
‘গাজার মাটি রাঙা, কেন নীরব পথে?’
স্লোগানের ঝড় ওঠে, মেঘ ছিঁড়ে ছুটে,
মানুষের স্রোতে আজ, জাগে স্বপ্ন মুঠোয় ফুটে।

ওই শিশুর কান্না, মায়ের আর্তনাদ,
বোমার ধ্বংসস্তূপে, হারায় স্বপ্ন-সাদ।
কিন্তু হৃদয়ে আগুন, জ্বলে অধিকার,
ফিলিস্তিনের মাটি, মুক্ত হবে একবার।

সোহরাওয়ার্দীর মাঠে, সংহতির বন্ধন,
ধর্ম-বর্ণ ছাড়িয়ে, এক হয়েছে মন।
মিছিলে পতাকা ওড়ে, রাঙা সবুজ ধ্বজা,
ফিলিস্তিনের জন্য, জাগে বাংলার মজা।

এই মাটি জানে কষ্ট, জানে মুক্তির গান,
স্বাধীনতার স্বাদে, জেগে ওঠে প্রাণ।
তাই আজ বাংলার বুকে, ফিলিস্তিনের ডাক,
এক হয়ে লড়তে হবে, অন্যায়ের ত্রাস ম্লান।

ওরা বলে, ‘তুমি কে?’ আমরা বলি, ‘এক!’
ফিলিস্তিনের পাশে, জ্বালো সংগ্রামের শেক।
মার্চ ফর গাজা, শুধু মিছিল নয় আর,
মানবতার জয়গান, ছড়িয়ে পড়ে সুদূর।

হে ফিলিস্তিন, শোনো, বাংলার এই কথা,
তোমার কান্না আমার, তোমার লড়াই সত্য।
একদিন মুক্ত হবে, জেরুজালেমের মাটি,
সোহরাওয়ার্দীর ডাক, থাকবে চিরআঁটি।