আমার ঘর ছিল একটি ছোট্ট আশ্রয়,
জানালায় ঝুলতো ফুলের মালা, স্বপ্নের পরিচয়,
আজ সেই দেয়ালে শুধু ফাটলের রেখা,
বোমার আঘাতে হারিয়ে গেছে জীবনের সেই দেখা।

আমার হাতে ছিল একটি পড়ার খাতা,
শিক্ষার স্বপ্নে রঙিন ছিল আমার জগতটা,
কিন্তু স্কুলের মাঠে এখন ধ্বংসের ছায়া,
পড়তে শেখা অক্ষরগুলো মিশে গেছে রক্তের মায়া।

আমার মা রান্না করতো সকালের রোদে,
গন্ধে ভরে উঠতো আমাদের ছোট্ট কোণটি মধুর মোহে,
এখন রান্নাঘরে শুধু ভাঙা পাত্রের স্তূপ,
ক্ষুধার জ্বালায় কাঁদে আমার হৃদয়ের গভীর কূপ।

আমার বন্ধুরা খেলতো গলির মোড়ে,
হাসির শব্দে মুখরিত হতো সন্ধ্যার ঘোরে,
আজ সেই গলিতে শুধু নীরবতার সুর,
মৃত্যু এসে ছিনিয়ে নিয়েছে তাদের হাসির ঝড়।

আমি জিজ্ঞাসা করি আকাশের কাছে,
কেন এই যুদ্ধ আমার জীবনের পথে?
কেন আমার শৈশব হারালো আগুনের লেলিহানে?
কেন আমার স্বপ্ন ভাসে ধোঁয়ার কালো পেল্লানে?

তবু আমি দাঁড়াই, ভাঙা পথের ধারে,
হৃদয়ে জ্বলে প্রতিশোধ নয়, শান্তির আহ্বান সারে,
গাজার মাটি আমার, আমি এরই সন্তান,
ধ্বংসের মাঝেও বেঁচে থাকব, এই আমার প্রমাণ।

হে দূরের মানুষ, শোনো আমার কথা,
গাজার চিৎকার কি পৌঁছায় তোমার অন্তঃস্থলে তথা?
একটি দিন, একটি রাত, শান্তির ছোঁয়া চাই,
গাজার বুকে ফিরুক জীবন, এই প্রার্থনা তাই।