রোজ বিকালে নদীর ধারের
কাঁশফুলের ঐ বনে,
সবাই মিলে খেলতাম যেথায়
পড়ে কি তোর মনে।
সবার মাঝে তুই যে ছিলি
অন্যরকম এক আলো,
যে আলোতে হারিয়ে আমি
বুঝিনি খারাফ কি ভালো।
মনটা শুধু ব্যকুল থাকতো
দেখতে তোর ঐ চোখ,
যেথায় থাকিস যতদূরে
ভেসে উঠতো তোর মুখ।
চোখ বুঝলেও অন্ধকারে
ভেসে উঠতো তোর হাসি,
চোখ খুললেও দেখতাম তোরে
আমি দিবানিশি।
অন্ধকার ছাড়া নেই যেমনি
আলোর কোন মায়া,
হাজার খুজে ও পাইনি আমি
তোর সে দিনগুলির ছায়া।
মাঝখানে তুই হারিয়ে গেলি
ইটপাথরের ঐ ভিড়ে,
জানতাম তুই আসবি ফিরে
সুখের আপন নিড়ে।
ইটপাথরের ঐ দেয়ালের ভিড়ে
খুঁজতে গেলাম তোরে,
হতাশা নিয়ে ফিরেছি আমি
আমার আপন নীরে।
আসলি ফিরে আপন নীড়ে
বেশ কয়েক বছর পরে,
মনটা শুধু ব্যকুল ছিলো
তোরে দেখবার তরে।
দূর থেকে দেখিছি আমি
নীল শাড়ীতে এক পরী
কাছে যেতেই ভিড়লো আমার
সুখের আপন তরী।
তুই তো সেথায় ছিলি ঠিকই
ছিলো না ঐ হাসিমাখা মুখ,
যা দেখে ভুলেই যেতুম
মনের হাজারো দুখ।
তুই ঠিকই সেই বিকেলে
বসিস নদীর ধারে,
কি যেন এক বিষন্নতায়
ফিরিস সন্ধ্য রাতে।
কী যেন এক বিষন্নতায়
কাটাচ্ছিস সময়টাকে,
হাজারো চাইলে পাবি না ফিরে
সুন্দর এই মুহুর্ত্যটাতে।
কাছে যেতে ভয় করে
তাইতো আমি দূরে,
মনটা খারাফ দেখে তোর
আমার মনটাও পুড়ে।
সহস আমার কম ছিলো
ভয় পেতুম তোরে,
আমার করা সামান্য ভুলে
ভুলবি বুঝি মোরে।
রোজ বিকালের লাঠিম খেলায়
তুই সাহস ছিলি মোর,
তোর খারাফ সময়ে তাহলে
আমি কেন এত দূর।
ভাবলাম তোরে বলবো আমি
মনের কোন আঙ্গিনায় তোর দুখ,
মনের কথা মনে রাখিস নাহ্
বল সব কিছু খুলে মুখ।
যেই ভাবা সেই যে কাছে যাওয়া
জানতে তোরে আর বুঝতে তোরে,
মনের কথা বললি খুলে
আমায় আপন মনে করে।
ভাবলাম আমি গাছ হবো
দিতে তোরে ছায়া,
হাজারে কষ্টে দিবো না যেতে
তোর মুখের ঐ মায়া।
আজ সে সুযোগ হাতের কাছে
ভুলাতে তোর কষ্ট,
সুযোগ আমি লাগাবো কাজে
করবো না সময় নষ্ট।
বলেছিলি তুমি সুন্দর জীবনে
এক ব্যর্থ মানুষের গল্প,
বললাম আমি এসব কিছু
থাকবে জীবনে অল্প।
অনেক দিনে পেয়েছি আমি
হারানো সেই বন্ধুত্য,
এ যেন এক পুরোনো মূহুর্ত্য
পেয়েছি যেথায় হারানো সৌন্দর্য্য।
থাকবো পাশে বন্ধু হয়ে
ছায়া হয়ে মায়া দিয়ে,
আগলে রাখবো মনপিঞ্জরে
সুন্দর সুন্দর স্মৃতি দিয়ে।