নিত্যগোপাল সত্যগোপাল
চিত্তগোপাল দত্ত  
              তিন ভাইয়েরই বয়স হবে
পঞ্চাশেরই উর্ধ্ব
               এই বয়সে এসে তাদের
হঠাৎ হলো ইচ্ছে
               গান বাজনায় উঠবে মেতে,
তালিমটা তাই নিচ্ছে।
                নিত্যগোপাল বাঁশি শেখে,
সত্যগোপাল ঢোল-টা
                 শিখছে যে গান চিত্তগোপাল,
খাচ্ছে খুশির দোল-টা,
                এমনই গায় চিত্তগোপাল
শুনলে পাবে কান্না
                নিজেকে সে ভাবে কিন্তু  
কিশোর,রফি, মান্না।
                আবার কখন নিত্যগোপাল
বাঁশির সুরে মাতছে
                সুর তো নয় অসুর যেন
গিলে খেতে আসছে
                সত্যগোপাল বাজায় এমন,
বলব কি সেই বাজনা
                সেই বাজনা শুনতে পারা
সুস্থ লোকের কাজ না।
                সকাল বিকাল রাত দুপুরে
রেওয়াজ তাদের চলছে
                বাড়ির লোক আর প্রতিবেশী
ওদের জ্বালায় জ্বলছে
                  পরশিরা সব জুটলো এসে,
ফন্দি তারা আঁটলো
                   যুক্তি করে মুক্তি পেতে
বুদ্ধিটা বেশ খাটলো
                   বন্ধ হলো ঢোল আর  বাঁশি
বন্ধ হলো গানটা
                 মান বাঁচল বাড়ির লোকের,
পাড়া-পড়শির প্রাণটা
                 কেমন করে বন্ধ হলো?  
বুঝলে না সেই কেস টা?
                 আমি কিছু বলব না আর,
তোমরা ভাবো শেষটা।