জগার খুবি চিন্তিত মুখ,
কি জানি হয় পাছে
হাজির হলো ব্যকুল হয়ে
রাজ-জ্যোতিষীর কাছে
বলল জগা, "জ্যোতিষমশাই,
চিন্তা আমার ভারি
চালের উপর বসল শকুন
এখন কি আর করি।"
রাজ-জ্যোতিষী ভবানন্দ
বলেন গম্ভীর হয়ে,
"ঘোর অমঙ্গল!ঘোর অমঙ্গল!
মরবি শুনে ভয়ে
শণি-মঙ্গল-রাহু-কেতু
চারটি গ্রহের ফেরে
সর্বনাশ তোর হবেই হবে
দুঃখ যাবে বেড়ে
শণি আনবে অভাব বয়ে,
মঙ্গল দেবে ব্যথা
রাহুর জন্য ঝগড়া-বিবাদ
মিথ্যে নয় এ কথা
দুর্ভাগ্য তোর ঘুরবে পিছে
জানবি কেতুর ফেরে
বলব কি যে.. জীবনটা তোর
যাবে ছারেখারে।"
জগা বলে, "হায়! হায়! হায়! হায়!
তাহলে কী হবে?
ভবানন্দ ভেবে বলেন,
"উপায় আছে তবে....,
একশো আট জন ব্রাহ্মণকে
খাওয়ালে পেট ভরে
সোনা-রূপা- গরু দানে
ভাগ্য যাবে ফিরে
প্রায়শ্চিত্তের এই তো বিধান
বলে দিলাম সবি
না মানলে তা খুব ভয়ানক,
উচ্ছন্নে তুই যাবি।"
"শুনুন তবে জ্যোতিষ-মশাই"
জগা হেসে বলে,
"শকুন এসে বসেছে যে
আপনার বাড়ির চালে।"