ছোট্ট খোকা একটু ভেবে
প্রশ্ন করে মাকে 

           "বলো তো মা রবি ঠাকুর
স্বর্গেতে কি থাকে? 

         তেত্রিশ কোটি 'ঠাকুর' আছে
ঠাম্মা বলেছিল

           রবি ঠাকুর, কেমন 'ঠাকুর'
বুঝিয়ে  আমায় বলো। 

            কেমন ভাবে পূজা হয় তার,
আমায় শোনাও দেখি? 

             'ঠাকুর' হয়েও 'সহজপাঠ'-এ
করেন লেখালেখি? 

               'ঠাকুর' হলে মন্দিরেতে
যায় না কেনো দেখা? 

            ইনি তবে কেমন 'ঠাকুর'?
ভাবলে আমায় বোকা?

             তাকে পূজার মন্ত্র-বিধি
আছে কিছু জানা? 

               তোমরা বলো 'রবি ঠাকুর'
আমি তো বুঝিনা।"



              বললো যে মা ছেলের কথায়
হেসে একটুখানি , 

             "ঠাকুর হলো পদবি তার,
বিশ্বকবি তিনি।

                বিশ্ববাসীর মনের মাঝে
তার যে আসন পাতা 

                মানবতার মন্ত্র তারই
পাতায় পাতায় গাঁথা। 

               নিত্য তাকে স্মরণ করেন
কত জ্ঞানী-গুণী 

              সেই তো তার শ্রদ্ধাঞ্জলি,
লেখাতেই তার বাণী। 

             ধর্মের কোনো ভেদাভেদ নেই,
সবার তিনি পূজ্য 

              তিনিই তো সেই রবি ঠাকুর,
দীপ্ত আলোক সূর্য 

               শোনরে খোকা বড়ো হলে
বুঝবি তখন সবি

                  জানলে তাকে, মানলে তাকে
তবেই 'মানুষ' হবি।"