সূর্য অস্ত যায় পশ্চিম দিগন্তে
অন্ধকার হাতছানি দেয় প্রকৃতির নিয়মে
শহরের রাস্তার আলোগুলি জ্বলে উঠে
সক্রিয় হয় আঁধার দূর করতে।
অল্প অল্প কুয়াশা দৃশ্যমানতা কমায়
নিরবচ্ছিন্ন অনাহার যাদের নিত্য সঙ্গী
এই শহরের বুকে বেড়ে ওঠা
ভবঘুরে কোন এক ছেলে আশ্রয়হীন ,
সহায় সম্বল হীন, বস্ত্রহীন
কে পরিচয় জানতে চায় তার!
হয়তো সভ্য সমাজ জিরাফের মতো
বোবা হয়ে আছে অনিচ্ছার অরণ্যে।
নয়তো অন্ধের অভিনয়ে নিমগ্ন,
ঘুণ ধরেছে মানুষের বিবেকে
মিথ্যা আশ্বাস বাড়ায় শুধু হতাশা।
জাঁকজমকপূর্ণ শহরের শরীর জুড়ে
দুরন্ত আলোর আলপোনায়
ঢাকা পড়ে দারিদ্রতার ক্ষত।
আর সেই ছেলেটি ছোট ভাইটিকে
জড়িয়ে ধরে ঠাই বসে থাকে
তার শরীর থেকে একটু উষ্ণতা দেওয়ার জন্য।
শীত তার কাছে বিনোদন,বিলাসিতা নয়,
শীত তার কাছে বিভীষিকা মাত্র।
কবির কলমে শীতের আরাধনা
তার কাছে পাহাড় প্রমাণ ব্যর্থতা শুধু,
এক টুকরো ছেঁড়া কাপড়ের সন্ধানও
মেলেনা সেখান থেকে।
প্রতীক্ষার প্রহর গুণতে গুণতে ছেলেটি
বিবশ শরীরটাকে এলিয়ে দেয় ল্যাম্পপোস্টে;
দু চোখের পাতা জুড়ে আসতে চায়
শীতের নির্মম চোখ রাঙানি
তাকে বাধ্য করে বিনিদ্র রাত্রি যাপনে,
সে শুধু অপেক্ষা করে পরের দিনের সূর্য ওঠার।
রোদ বড়ো ভালোবাসে সে।
রাতটুকু কাটাতে পারলেই....
সূর্য উঠবে,অপেক্ষার অবসান ঘটবে।
এতটুকু উষ্ণতার জন্য
তাই সে অপেক্ষা করে নতুন সূর্যের
এই শীতে রোদ-ই তার কাছে স্বপ্ন,
রোদ-ই তার কাছে স্বর্গ।