মাস্টার মশাই প্রশ্ন করেন
ক্লাসের মাঝে এসে,
              "বলত দেখি ধৈর্য বেশি
কার এই সমাজে?"
               ছাত্ররাও ভাবলো বটে
প্রশ্ন বড়ো সোজা  
             জবাব আছে ঠোঁটের আগায়
লাগবে না আর খোঁজা।
             একজন বলে, "শিক্ষকদেরই
ধৈর্য বেশি দেখি
             গাধা গরু মানুষ করেন
সত্যি বলে রাখি।"
              "ছাত্রদেরই ধৈর্য কি কম?"
বলে আরেকজনা,
              "এত পড়া মনে রাখা
কঠিন ব্যাপারখানা।"
              কেউ বা বলে শ্রমিক চাষী
ধৈর্য কত ধরে,
             সেনা-পুলিশ ধৈর্য ধরে
দেশটা রক্ষা করে।
             ধৈর্য কত বিজ্ঞানীদের
গবেষণায় মেতে,
             ধৈর্য নিয়ে ডাক্তারেরা
মগ্ন চিকিৎসাতে।
              আরও কত জবাব এল,
মাস্টার মশাই শুনে
             মাথা নেড়ে বুঝিয়ে দেন
ধরেনি তার মনে।
             পরিশেষে কোণের থেকে
জবাব এল ভেসে
              হরিচরণ জবাব দিল
মৃদু মৃদু হেসে
             "হুইল ছিপে মৎস ধরে
বৎস কিছু বটে
             ফতনাতে চোখ রেখে তাদের
সারাটা দিন কাটে ।
              মাছ মেলেনা  অবশেষে
ফেরেন খালি হাতে
              মাছ ধরিতে আসেন কিন্তু
আবারও প্রভাতে।
              দিনের পরে দিন কেটে যায়,
হাল না ছাড়েন তবু  
              মাছ শিকারে আসেন আবার
হন না হতাশ কভু।
               এমন ধৈর্য আর কোথাও
যায় না দেখা বেশি"
               এ জবাবে মাস্টার মশাই
  হলেন বেজায় খুশি।
               ধৈর্যবীরের সন্ধান তবে
পাওয়া গেলো শেষে,
               ক্লাসে এবার মানলো সবাই,
উঠল বা কেউ হেসে।