(১)
সেদিন...
আকাশে ছিল চাদঁ
ছিল তারা...
তোমাকে দেখে মন
হলো দিশেহারা...!
যেন উড়ে চলা পাখি এক
নীড় হারা....!
সেদিন...
চোখেঁতে ঝরে ছিলো
শ্রাবনধারা...
চোখেঁতে....... ঝরে...... ছিলো
শ্রাবনধারা...!!!
তোমাকে... দেখে... মন...
হলো দিশেহারা...!
যেন উড়ে চলা পাখি এক
নীড় হারা....!
(২)
আমি যদি তোমায় ভালবাসি
ও প্রিয়তম.......
তুমিও ভালোবেসো
বেশী না হয় কম!
আমি যদি চোখের জল
ফেলি হাজার ফোটাঁ
তুমিও ফেলিও বন্ধু
শুধু এক ফোটাঁ!
ঐ এক ফোটাঁ চোথের জলের দাম....
আমার পৃথিবী সমান!
তুমি যদি ডাক আমায়...
শুধু ইশারাতে...
ছুটে যাব এক পলকে
তোমার নেশাতে...!!!
(৩)
মনে পড়ে রাজকন্যা...
হাজার বছর আগে..
কোন এক বসন্তের বিকেল...
তোমার প্রাসাদের সামনে
পথ ভুলে দাড়িঁয়েছিল
কোন এক যুবক..
তোমার চোখেঁ চোখঁ পড়লো তার
অপলক তাকিয়ে থাকা..
কি অপূর্ব!
অস্বাভাবিক সুন্দর করে
বিধাতা তোমার প্রতিমা গড়েছে...!
তোমাকে ছুয়েঁ দেখবে বলে
হাত বাড়ালো সে...
আর তখনি.......
তোমাকে ছুয়েঁ দেখার অপরাধে
বন্দী করা হলো সেই যুবককে..
ভালবাসা আর ছুয়েঁ দেখার অপরাধে
তার মৃত্যুদন্ড দেওয়া হলো!
আমি সেই যুবক
আবার এসেছি...
তোমায় ভালবাসবো বলে..
রাজকন্যা,
তুমি যতবার
আমার সামনে আসবে..
ততবার তোমায় ভালবাসবো, ছুয়েঁ দেখবো..
তোমাকে ছোঁয়ার অপরাধে
সহস্রবার আমি মৃত্যুকে
সঙ্গী করে নিবো...!
(৪)
তুমি মার্সিডিজে পথ চলো
অল্প অল্প কথা বলো..
ফাইভ ষ্টার হোটেলে খাও
সব সময় ঝুলিয়ে রাখো
ঠোটেঁর কোণায় হাসি....!
আমি লোকাল বাসে
হাপিয়ে উঠি...
যন্ত্রনায় চটফট করি
ঘরে আমার বাসি খাবার
এক টুকরো রুটি...!
তুমি এয়ারকুলার অন করে
গ্রীষ্মকে শীত বানিয়ে
ঘুমিয়ে থাকো আরামে...
আমার গ্রীষ্মটা আর শীত হয়না
ঘুম হয়না..
ভাদ্র মাসের গরমে...
আমি কষ্টে থাকি
কষ্টে বাচিঁ....
তুমিই থাকো
অনেক সুখে আরামে...!
(৫)
তোমার জন্য্ বাউল হবো
এমন কথা বলবো না!
তোমার জন্য চাদঁ আনবো
অথৈই সাগর পাড়ি দিবো,
এমন কথাও বলবো না
সত্যিই আমি দেবদাস্ও হবো না!
তোমার জন্য তাজমহল
কিংবা রাজপ্রাসাদ বানিয়ে দিবো
তোমার জন্য রোমিও
আমি পারবো না হতে
যতই তুমি জুলিয়েট হও!
তোমার জন্য শুধুই
হতে পারি আমি
অপলক বিমূর্ত ছবি.....
অথবা কবি...কবি.....কবি......!