বৃষ্টি মাথায় নিয়ে যখন স্টার কাবাবে পৌঁছলাম , তখন ঘড়ির কাঁটা পাঁচটা পেড়িয়ে আরো পনেরো মিনিট এগিয়াছে । নীচে থেকে ফোন করলাম কবীর ভাইকে ।
--"আমরা সবাই দোতালায় দক্ষিণ -পূর্ব কোনে চলে আসেন জলদি ।"উপরে উঠে দেখি কবিদের মেলা গোটা কয়েক টেবিল এক করে নিয়ে একটা কনফারেন্স টেবিলের রূপ দেয়া হলো । ল্যাপটপ খুলে বসা কবীর ভাইয়ের পাশে বসা পলক ভাইকেই চিনলাম আগে ।তারপর একে একে অন্য কবিদের সাথে কথা হলো ।পরিকল্পনার চেয়ে আসলে আড্ডাটাই বড় হয়ে গেলো -সময় পেড়িয়ে যাচ্ছে অতি দ্রুত । আমাকে দৌড়াতে হবে হাসপাতালে ফোন আসছে বার বার , সব ভুলে মজে আছি মৌতাতে । প্রথমেই বলতে হয় কবির ভাইয়ের কথা , ভদ্রলোক ভীষণ অমায়িক ,আপদমস্তক সাহিত্য-প্রেমী, সব্যসাচী টাইপ কথা শুনছেন , বলছেন , টাইপ করে চলেছেন । বিশাল মনের মানুষ , নিজেকে ছড়িয়েছেন মহীরুহের মতো । আসরের মিমিকে উতসর্গ করে বেরুনো তার প্রথম কবিতার বইটি দেখলাম । অবাক হলাম !
পলক ভাই নিজেই যেন এক সংস্কৃতির পতাকা , বাচনে ,বন্ধুত্বপূর্ণ আচরনে সবাইকে নিমিষে কাছে টানেন , অনেক বড় প্রতিভা , একটি টিভি চ্যানেলের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে যে যেমন হম্বিতম্বি থাকার কথা তা পুরো অনুপস্থিত বরং বৈঠক প্রাণবন্ত করে তুলতে সঞ্চালনার দায়িত্ব নিলেন দারূন দক্ষতায় । অবলীলায় সবাইকে টেনে নিলেন কাছে --হাতে পেলাম আমরা সবাই তার সাপ্তাহিক "ভোরের তারা"র সৌজন্য কপি ।তার পাশে বসা কবি শওকত আজাদ ভাইকে খুব আমোদপ্রিয় বন্ধু হিসেবেই পেলো সবাই , প্রচন্ড রসিক এই কবিবন্ধু কাউকে ছেড়ে কথা বলেন না , সবার ঠিকুজি এমন কৌশলে টেনে আনলেন ,আমাদের দাঁত বার করে হাসতেই হলো বার বার ।আলামীন সজীব কবিতা আসরে নতুন ,আসরে এসেছেন সবে তার সৌভাগ্য বড় , কবিতায় কবিদের সাথে পরিচয়ের আগেই ব্যাক্তি কবিদের সাথে পরিচয় হয়ে গেলো তার , বয়সে তরুন এই কবি ঝটপট সবার মধ্যে জায়গা করে নিলো স্বভাবজাত নৈপুণ্যে ।
ইঞ্জিনিয়ার কবি তাজুল ইসলাম ,বেশ পরিকল্পনাবিদের মতো কথা বললেন , তিনি বেশ সিরিয়াস এবং ভীষণ আন্তরিক, পরিচয় পর্বে নিজেকে চেনালেন অন্য এক মাত্রায় , বহুদিকে ছড়িয়েছে তার পড়াশুনার ডালাপালা ,তাই ঋদ্ধ এ কবির সংস্পর্শে নিজেকেই বড় মনে হয়।
-- (১ম পর্ব শেষ)
২য় পর্বে থাকছেন এম,এইচ,মিঠু, বিষ পিঁপড়া , মো , জামান আহমেদ , সাবলীল মনির , সামিন রহমান, মোঃ রাশেদুল ইসলাম,মোঃ আজিজুল হক রাসেল,আলমগীর সরকার লিটন কে যেমন দেখেছি ~