নদীর সাথে ছুটছিলাম সমূদ্রে যাবো বলে
চরায় আঁটকে গেছি আমি,নদী ফেলে গেছে আমায়,
সমূদ্র দেখা হলো না আমার......
ঘুড়ির সূতোয় মন বেঁধে চেয়েছিলাম আকাশ ছুঁবো
কেটে গেছে সূতো হঠাৎ
মেঘেদের বিদ্রূপ বৃষ্টি হয়ে ভগ্নমনা আমায় ভেজালো তাই.......
পাহাড়চূড়ায় পা রেখে পৃথিবীটা চেয়েছিলাম দেখতে
পঙ্কিল উর্ধ্বপথে পিছলে পড়ে উপসংহার টেনেছি তারও........
মহাকর্ষকে মিথ্যে করে বিশালতা বিকর্ষণ করছে আমায়
তবুও নগণ্য মানুষ আমি অগণ্য স্বপ্নের আধার
আশার আশকারাতেই আমার বসবাস।
মনে মনেই মন্থন করি আমি সমূদ্র
উদার আকাশে উড্ডীন হই উপকথার উড়ন্ত আগুনপাখী হয়ে
অহরহ মেঘের সাথী হয়ে পর্বত শিখরে শরীর
ঘষি আমি।
ব্রহ্মাণ্ডে পরিব্যাপ্ত আমার পর্যটক মন।
ক্ষুদ্রতার ক্ষুধা গিলতে অক্ষম আমাকে...
পৃথ্বীর নশ্বর বিশালতা চেনেনি আমার অবিনশ্বর আত্মাকে
বিধাতা বড় ভালোবেসে......
বিশালতাকে বন্দী করে দিয়েছেন
আমার মনুষ্য মনে।