গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শিবরাম সরঃপ্রাঃবিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃনূরুল আলম স্যারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে লেখা।
২৫-০৩-২০০৬ইং
***************
আজ যার গল্প বলছি নাম মোঃ নূরুল আলম,
লক্ষ্য এলাকার শিশুর হাতে দেবেন খাতা কলম।
নিভৃত পল্লীর মাঝে দুর্বল এক বিদ্যালয়,
নাম জানত গাঁয়ের মানুষ দূরে পরিচিত নয়।
নড়ে চড়ে উঠল তা যে গাছ ছিল মৃতপ্রায়,
দিনে দিনে তিলে তিলে সজীব হলো তার ছোঁয়ায়।
একটি দুটি বসল পাখি গাইল সুরে প্রভাতী গান,
আত্মভোলা মানুষগুলো পেলো পথের সন্ধান।
আঁধার চোখে আঁধার মনে শিক্ষার আলো উঠল জ্বলে,
আঁধার মুখো গাঁ টা ছিল অশিক্ষার রসাতলে।
পরিশ্রম আর ভালোবাসা দিলেন তিনি শত ভাগ,
সাথে পেলেন এলাকার মানুষের অনুরাগ।
আরও পেলেন ধনী গরিব সবার সহযোগিতা,
ছাত্র ছাত্রী পেলো পাশে শিক্ষাগুরু-বন্ধু-পিতা।
দেখতে দেখতে মেঘলাকাশে সূর্য জ্বলে উঠল,
দিকে দিকে চারিদিকে তার নামটি ফুটল।
এলাকার সীমানা পেরিয়ে গেলো সারাদেশ,
যেন স্বপ্নে দেখা স্বয়ংসম্পূর্ণ পরিবেশ।
বিদ্যালয় নয় তো শুধু সাজানো ফুলের বাগান,
শত শত শিশুকে শোনায় শিক্ষার জয়গান।
সবাই সেথায় হাস্যোজ্জ্বল দেয় না থাবা ক্লান্ত,
অগ্নিঝরা তাপ সেথা নেই নিত্য সেথায় বসন্ত।
'পাতায় পাতায়' বসে পাখি মন কেড়ে নেয় 'গানে গানে',
'দীপের আলো' জ্বলে সদাই নেই আঁধার কোনখানে।
'ঊর্মিমালা' দোল দিয়ে যায় ভয় নেই হারানোর তীর,
ভালোবাসায় সিক্ত ওরা সবার 'নয়নের নীড়'।
স্বপ্ন,আবেগ,আকাঙ্খা ছোঁয়ার সেতু বন্ধন,
অন্যরকম জগত এক যেন 'মমতার মিলন'।
শ্রেষ্ঠত্বের গল্প যার দেশ পেরিয়ে বিদেশে,
অনেক নামের মাঝে তার নামটি মুখে আসে।
বিস্মিত করেন না শুধু বিস্ময়ের গল্প শোনান,
তার গল্প জাগিয়ে তোলে শিশুর ঘুমন্ত প্রাণ।
ভালো লাগার বিদ্যালয় হয়ে উঠল শিবরাম,
সবার মনে জায়গা করে নিল যশ-খ্যাতি-নাম।
একটি পুস্তক আলোকিত করে তোলে অনেক মন,
এক পুকুরে তৃষ্ণা মেটায় চারিদিকের হাজার জন।
একটি হাত কর্মঠ করে তোলে শত হাত,
এক সূর্যই এনে দেখায় লক্ষ কোটি প্রভাত।