বুকটাতে বড় কষ্ট লাগে
মুখে দিতে পারি না তালা,
যখন দেখি ছেলে সুখী
মায়ের হাতে ভিক্ষার থালা!
ছেলে ঘোরে যানে চড়ে
বাপে রিক্সা চালায়,
শুষ্ক মরু ভিজে ওঠে
পাথরের কান্নায়।
মায়ের পড়নে ছেঁড়া কাঁথা
বাপের পড়নে ছেঁড়া বাস,
জোড়া-তালি দিয়ে তাই চলে যায়
মাসের পর মাস!
ছেলে খায় না অরুচি ধরেছে
বাপে খায় না অভাবে,
ছেলের সেদিকে যায় না দুচোখ
পচন ধরেছে স্বভাবে।
ছেলের ঘরে খাট-পালঙ্ক
বাপের জন্য মাটি,
মায়ের মাথা উশকো-খুশকো
ছেলের পরিপাটি।
ও কুলাঙ্গার,ওরে শকুন
ওরে ও হায়না,
ওরে বধির মায়ের কান্না
তোর কানে কি যায় না?
ঘুন পোকা কি খেয়ে ফেলেছে
বুকেতে মন নাই,
চোখ দুটো কি অন্ধ হলো
দেখার আলো নাই?
মনে রাখিশ তোর হাসি
চার দেয়ালেই বন্দি,
মায়ের হুতাশ দশ দিকে যায়
যতই করিস ফন্দি।
বাপের কান্না ধরার কোথাও
লুকিয়ে রাখা যায় না,
পিতা মাতার দায় তোরই
এই সমাজের দায় না।
ওরে মূর্খ,অন্ধ,বধির
চোখে দিয়ে চড়,
পিতা মাতার কান্না নিয়ে
গবেষণা কর।

০১-১২-২০২২ইং