মুক্তিযোদ্ধা, তোমরা দেশের সর্বোচ্চ মান
জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান ।
স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনে তোমাদের অবদান
অক্ষয়, অনস্বীকার্য, চিরঅম্লান ।
তোমরা জাগ্রত বিবেক, তোমরা নির্ভীক
তোমরা অপরাজেয়,
দেশের জন্য অবর্ণনীয় ত্যাগ,
তিতিক্ষায় তোমরা পরীক্ষিত সৈনিক ।
ভক্তি- শ্রদ্ধা ভরে
স্মরি, তোমাদের অবনত শীরে ।
ধর্মকে পুঁজি করে পাকিস্তানের আবির্ভাব !
ছিল চরম দূরদর্শিতার অভাব !
নেতাদের এমন ভুলে !
মাশুল দিতে হয় বাঙালিকে চব্বিশ বছর ধরে !
আসলে ওদের ধর্ম ছিল মুখে !
মুখোশ খুলে যায় বায়ান্নর ভাষার দাবীতে !
তারপর কত সংগ্রাম, জেল-জুলুম, অত্যাচার !
তবুও দেয়নি ওরা অধিকার !
তোমরা ছাড়া কোন গতি ছিল না আমাদের
নয়তো সব জ্বালিয়ে করত ছারখার !
নির্লজ্জ দালাল রাজাকার,
আল-বদর, আল-শামস ছিল ওদের চাটুকদার !
পচিশ মার্চ রাত, হঠাৎ হানাদারের আক্রমণ !
ঝরে যায় প্রায় অর্ধ লক্ষ প্রাণ !
সেই নিষ্ঠুর গণহত্যার প্রতিবাদে !
তোমরা অস্ত্র হাতে নিয়ে
ঝাঁপিয়ে পড়েছিলে মুক্তিযুদ্ধে !
পাকিস্তানি হায়েনার থাবা থেকে উদ্ধারে
প্রিয় দেশ ও মানুষকে বাঁচাতে !
করলে যুদ্ধ, জীবন বাজি রেখে !
নয় মাসের সেই রক্তাক্ত যুদ্ধে !
কত সাথী জীবন হারালো চোখের সামনে !
তবুও ভীত না হয়ে লড়ে ছিলে বীর দর্পে !
অবশেষে স্বাধীনতার লাল-সবুজ পতাকা হাতে
একটি সার্বভৌম বাংলাদেশ নিয়ে
এলে “জয় বাংলা” মুখরিত করে !
মুক্তিযোদ্ধা- সালাম তোমাদের
তোমরা বিজয়ী, তোমরা অবিনশ্বর
তোমরা জাতীয় বীর ;
তোমরা প্রজন্মের অহংকার ।
কে রুখে তোমাদের ?
তোমরাই প্রেরণা, আগামীর ।
তোমাদের বীরত্ব গাঁথা ইতিহাস জানবে
প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ।
আর দোয়া ও ভালবাসায় সিক্ত হবে
আত্মা । কবরে, কারো শ্মশানে ।।