পাকিস্তানি শোষন-বৈষম্যের চব্বিশ বছর
অত:পর বীভৎস একাত্তর !
চারিদিকে শুধু লাশ, আর লাশের বহর !
যারা স্বচক্ষে দেখেছিল, তাদের
বেশির ভাগে ঠিকানা এখন শ্মশান-কবর
যারা এই প্রজন্মের
বুঝবেনা, কত ভয়ানক ছিল একেকটি প্রহর !
বর্বর “রাজাকার” গুলো ছিল সব জানোয়ার !
কোটা সংস্কারে ছাত্ররা যৌক্তিক দাবিদার
তার জন্য কেন হতে হবে রাজাকার ?
যারা এই দেশটাকেই করে অস্বীকার !
হাতে জাতীয় পতাকা, মুখে শ্লোগান- রাজাকার !
ভন্ডামীরও সীমা থাকা দরকার
ভাবে নিজেদের ঊর্ধ্বে সবার
আসলে সব কুলাঙ্গার !
তাই পরাজিত “রাজাকার” নিয়ে অহংকার !
দেশটি স্বাধীন করে মুক্তিযোদ্ধারা পর
আর আপন হল রাজাকার !
এই না হলে তোমরা ভবিষ্যৎ কর্ণধার !
কি দুর্ভাগ্য আমাদের !
আমাদেরই ট্যাক্সের টাকায় গড়া
বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিপালিত হচ্ছে রাজাকার !
তা না হলে, কি করে বলল ওরা
তুমি কে, আমি কে- রাজাকার, রাজাকার !!
মুক্তিযোদ্ধাদের দেশে কি উদ্যত আচার !
দেশ জুড়ে নিন্দা, প্রতিবাদের ঝড় !
ত্রিশ লক্ষ শহীদের জন্য এটা চরম অপমান কর !
বড় ঘৃণা লাগে, দেখে তোদের !
“রাজাকার” হয়েই মর !
মূর্খরাও তোদের থেকে দেশের জন্য কল্যাণকর
প্রয়োজনে যুদ্ধ হোক আরেক বার
দেখব কত শক্তি রাখে “রাজাকার” ।।