সেনাপতি ! রাষ্ট্রপতি ! আবার রাজনীতি !
হাস্যকর ! এভাবে এক সঙ্গে তিনটি !
যেটা সকল রীতি ও আইন পরিপন্থী !
১৫ ই আগস্ট হত্যার কূটকৌশলী !
প্রিয় ভাজনদের দিয়ে সেই রাত্রি
বর্বর হত্যা চালায় ধানমণ্ডির ৩২ এর বাড়ি !
পরে আইনে পরিনত করে ইনডেমনিটি !
ক্ষমতা কায়েমী করতে তের শতেরও বেশি !
সেনা ও বিমানের মুক্তিযোদ্ধা দেশপ্রেমী
কাউকে গুম, গুলি আবার কাউকে ফাঁসি !
নিজেকে ভাবতো মহারথী !
কখনো ছদ্মবেশী জাতীয়তাবাদী !
পরে সরকারি অর্থে পোষা দলীয় কর্মী
দিয়ে শুরু যার রাজনীতি !
হ্যাঁ-না ভোটে ১১০% এরও বেশি !
প্রবাদে আছে, অতি চালাকের গলায় দড়ি
বুলেটে ক্ষত-বিক্ষত তাঁর নিথর দেহটি !
গাদ্দারের জীবন মানে, এমন পরিণতি !
আরেকজন ছিল সাজু-গাজু একদম হাতুড়ে !
লেখাপড়ায় লবডঙ্গ তবু তাকেই দিয়ে !
চলে নানা কসরত ক্ষমতা পেতে
বোঝে না রাজনীতি, কেউ দেয় পড়িয়ে !
হুন্ডা-গুন্ডা-অস্ত্রের মহড়া দেখিয়ে !
স্বদর্পে ক্ষমতায়, শুধু গোঁজামিল দিয়ে !
ইতিহাস বিকৃত করে বছরের পর বছর
খুনি-স্বৈরাচার-পাকিস্তানি দোসর !
মিলে মত্ত ছিল ফার্সী জিন্দাবাদের ভিতর !
একটু হলে, বাঙালিয়ানাও হত কবর !
বঙ্গবন্ধু সহ মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান
খাটো করে ছড়াতো, কত বদনাম !
৭ ই মার্চকে ঢেকে কালুর ঘাটের ভাষণ !
খুব জোরে শোরে করে ইতিহাসে প্রচলন !
প্রতিবাদ করলে হত গুলিতে মরণ !
ভয়ে মুক্তিযোদ্ধারাও করত পরিচয় গোপন !
এদিকে যত চ্যাংড়া ও ভেল্কি বাজ মিলে
করতো পূজা এক ‘মাকাল ফল’ নিয়ে !
চাটুকেরা ডাকত যাকে ‘যুবরাজ’ বলে !
সিংহাসনের আদলে কথিত ‘ভবন’ গড়ে !
কল কাটি নাড়াতো সে, সকল দপ্তরে !
কখনো রাষ্ট্রীয় শাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুুলি দেখিয়ে !
'একুশে আগষ্ট' হত্যাযজ্ঞ, তারই মদদে !
বহু করেছে নিষিদ্ধ পার্টি ও জঙ্গী দিয়ে !
বালা খানায় ছিল তাঁর, পরীদের বহর !
‘খোয়াবে’ থাকতো সে প্রমোদের ভিতর !
মাফিয়াদের দখল ছিল রাজধানী শহর !
‘দশ ট্রাক অস্ত্র’ দেশের আলোচিত খবর !
পর পর পাঁচ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান !
বেরিয়ে আসে পরে সব অপকর্মের খতিয়ান !
অভিশাপে জর্জরিত, তাই যেন এমন হাল !
মহারথীর করুণ মৃত্যু ! যুবরাজের পরবাস !
দুর্নীতির দায়ে কারো শেষ বয়সে কারাবাস !
এ যেন বিধাতার নির্মম নিষ্ঠুর পরিহাস !
এভাবে অতীতে বহু অপশক্তির হয়ে গেছে কবর
তবুও এক শ্রেণীর মনে এখনো কাটেনি ঘোর !
বিসমিল্লায় গলদ ছিল, তাই এমন পরিনাম !
এভাবে একটি কালো অধ্যায়ের অবসান !!