তোমরা যখন ব্যস্ত ছিলে যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলায়
দেখেছ কি গুনে কত প্রাণ গেছে নিছক খেয়ালিপনায়?
গোলা-বারুদের আতশবাজিতে ঝলসে গেছে মাঠ,
পুড়েছে মানুষ, সাঙ্গ হয়েছে জীবনের যত পাট।
মহাদেশ থেকে মহাদেশে শুধু ছড়িয়েছ দাবানল
দূর থেকে শুধু দেখেছ মরছে ‘পঙ্গপালের দল’।
অস্ত্রের হাটে বিপণন শেষে তোমরা ভরেছ ঝুলি,
মূল্য দিয়েছে হাজার প্রাণেরা অবাধে হয়েছে বলি।
ফি-বছর করো শান্তির সভা আওড়িয়ে কত বাণী,
তাতে কি কোথাও ফিরেছে শান্তি, কমেছে জীবনহানি?
লাশে ভরা যত শ্মশান-নগরে ওঠে মাতমের ঢেউ,
কোন ফাঁকে আমি ছেড়েছি দেহ পায়নিতো টের  কেউ।


শোন কবি তুমি, আত্মা আমি।
বলে যাই কানে কানে,
নিশ্চিত জেনো, ফিরব আবার তোমাদেরই মাঝখানে।
মানুষের রূপে কখনো নয়,
রক্ত-মাংসের অবয়বে আর দেবোনাতো পরিচয়।
ধরা দেবো ঠিক অশরীরী কোনো প্রেতাত্মার বেশে,
ভয়ানক কোনো বিভীষিকা হয়ে রাতের আঁধারে মিশে।
বুলেটের ঘায়ে বিদ্ধ হবার থাকবেনা কোনো ভয়,
দেহহীন এই সত্তা আমার অবিনাশী অক্ষয়।

তোমাদের সেই শান্তি সভায় হানা দেবো একদিন,
কৃত্রিম যত শান্তির বুলি বিস্মৃত হবে সেইদিন।
অস্ত্র-বেপারী তস্কর যত,
শঙ্কায় তাদের হবে জানু নত।
রাজাতে-রাজাতে হবেনা আর কোনো মিথ্যা শান্তি-চুক্তি,
প্রেতের ভয়েতে চলবে সুপথে করবে মানুষে ভক্তি।
ভূতেতে মানুষে হবে সহবাস রবেনা যুদ্ধ আর,
শান্তি ফেরাব, জানিয়ে গেলাম এ আমার অঙ্গীকার।

২০১৮.০৩.০৬