আষাঢ়ে মৃত্তিকায় ঝরঝর বর্ষণ
মেঘমালা কালোকেশীর দর্শন।
কদমফুল ফুটেছে কুঞ্জকাননে
প্রিয়জনে কথা কয় সংগোপনে।
গগনে যবে উড়ে বেড়ায় ঘনশ্যাম
রোদ্দুর ডেকে কয়, “এসো করি প্রেম।”
ফোকলা মুখে হেসে উঠে রামধনু
ময়ূর নাচে রুনুঝুনু রুনুঝুনু।
ব্যাঙ ডাকে ঘ্যাঁঙর ঘ্যাঁঙর ঘ্যাঁঙ
ধাপে ধাপে ফেলে বকের ঠ্যাং।
বাঁশের সাঁকো বেয়ে চলে ছেলেমেয়ে
খালে বিলে হাঁসগুলো যায় নেয়ে।
নদীতে নৌকো বায় সোনাই মাঝি
মাথায় গামছা, যেন আছে বর সাজি!
জেলে ভাই, জাল ফেলে, ধরে মাছ
তাজা তাজা পুঁটি টেংরা করে নাচ।
রাখাল মাঠে গরু ছেড়ে করে খেলা
শিশুরা মনের খুশিতে চড়ে ভেলা।
স্কুল শিক্ষক দেন টিফিনের ছুটি
মা ডাকেন, “খেয়ে যা খুদের মুঠি।”
নাইওরি যায় দিয়ে পানসি নায়
মাঝি মাল্লা তালে তালে দাঁড় বায়।
পানকৌড়িরা মাছ ধরে ডুবে ডুবে
কৃষক কুদাল নিয়ে ছুটেছে পূবে।
দাদু হাটে চলেছেন ছাতা মাথায়
সওদা লিখে তাঁর পকেট খাতায়।
পাকা আম কাঁঠাল আনারসের গন্ধে
কেটে যায় রাতদিন, সকাল, সন্ধ্যে।