কুঁড়েঘরে বসত করেন বৃদ্ধ
বয়স আশি, দেহটা বেশ শীর্ণ,
ছেলে-মেয়ে ছিল যারা আজ
বাস করে বাবাকে ছেড়ে ভিন্ন।
আপন কেউ নাই এখন
বউ মরেছে কুড়ি বছর আগে,
বাগানে কাজ করার সময়
কামড়ে ছিল বিষধর নাগে।
এখন দিনরাত তাঁর একা কাটে
খেয়ে না খেয়ে ঘরে বসে,
ছেলেমেয়ে কেউ নেয়না খবর
কি হবে কপাল খানা দোষে!
এতোদিন তাঁর কেটেছে
মানুষের বাড়িতে রাতদিন খেটে,
কখনো জুটেছে ডাল-ভাত
বাস, লঞ্চঘাটের হয়ে মুটে।
তবু নেননি পেটের ক্ষুধায়
হাতে তুলে ঝুলি ভিক্ষার,
লোকে যদি তারে পরিহাস করে
দেয় যদি কেউ ধিক্কার!