মার্তণ্ডের সব আলো করেছ ম্লান-
রূপের ঝলকানিতে!অার উদ্ভাসিত
করেছ ভূলোক আপন মহিমায়।
সুপ্ত কিরনমালী,তাই লুকিয়েছ মুখ
মেঘের আড়ালে, ধরাতলে বইছে সমীরণ -
গাইছে পাখী গান, তোমার ভালবাসায়।
মায়ার বাঁধনে জড়িয়েছ সব
জাদুকরী হাসি হেসে, সবুজের কোলাহলে-
ছড়িয়েছ মুগ্ধতা নিজ আভায়।
কানন সেজেজে ফুলে, বইছে মধুর ঘ্রান;
অথচ ভ্রমর-প্রজাপতিরা নিয়েছে পিছু-
ভেবে প্রস্ফুটিত কুসুম তোমায়।
মাতাল করেছ ধরা তীক্ষ্ণ দৃষ্টিবানে।
পৃথিবীর সব ভাষা হয়ে গেল মূক-
হারিয়ে তোমার চোখের তারায়।
লতায় জড়ানো কান্তার তরু সাজে,
সাজিয়েছে বিধাতা তোমায়, হে পল্লীবালা-
কোন আবরনে এত প্রভা, লুকোবে কোথায়?
বৃন্তচ্যুত শিউলীর মতো প্রভাতেই পড়ো না খসে,
হয়ে সূর্যমুখী যাও যদি হেসে সারাবেলা-
উচ্ছ্বল প্রানবন্ত হয়ে নব স্পন্দন জাগে বসুধায়।
ষড়ঋতুর মতো বিচিত্র সব রূপে-
বারেক সেজেছ তুমি নিজের স্বরূপে!
আর টেনে নিয়েছ কাছে,অন্তহীন মুগ্ধতায়।
টিপ টিপ বৃষ্টির মৃদু মৃদু ছন্দে,
কত সুর বাজে তাই সব গানে সবখানে;
আর শত কবি লিখে যায় অপরূপার বর্ণনায়!