মানবী! রূপের আভায় করছো মাতাল;
সব একাকার আকাশ-পাতাল
ঢুলছে দেখ চাঁদ আর সুরুয।
লাজুক হাসি হাসছে সরোজ।
ছুঁয়ে তোমায় প্রজাপতি
ভাবছে তাকে ভাগ্যবতি।
দোয়েল চড়ুই শ্যামা টিয়ে
গাইছে সবাই তোমায় নিয়ে।
মাঠের প্রান্তে রাখাল ছেলে
বাঁশির সুরে ক্লান্তি ভুলে
অপরূপা তোমায় নিয়ে
গান বেঁধেছে "ওগো প্রিয়ে-
কানন বালা, পল্লীবালা
মিটিয়ে যাও প্রেম জ্বালা।
উদাস দুপুর ক্লান্ত বিকাল
যাচ্ছে গেয়ে গ্রাম্য রাখাল।
মায়াবী! দৃষ্টিবাণে করছো ঘায়েল
সিদ্ধ পুরুষ, সাধু কামেল।
ফেলে সকল আরাধনা
ভজছে তোমায় সুনয়না।
লজ্জবতীর ঐ কোমল ঠোটে
রক্তরাঙা গোলাপ ফোটে
শুষতে সেথায় ফুল মধু
মৌ আর ভ্রমর আসছে শুধু!
বৃত্ত যেমন কেন্দ্র ঘিরে
একই ভাবে যাচ্ছে ফিরে।
আমার মাঝে তুমি তেমন
বৃত্ত মাঝে কেন্দ্র যেমন।
ষড়যন্ত্র আর হঠকারিতা-
সব আয়োজন হবে বৃথা।
রুধতে নারি যৌবনাবেগ।
মান জাতিকূল সব করে ত্যাগ।
টিকবে যদি হয়, বন্ধন অটুট।
সব ছেড়ে চল, দেই দূরে ছুট;
ভাসিয়ে দিয়ে স্বপ্ন ভেলা
হোক না শুরু প্রেম খেলা।