আজো ফাঁকা আছে সেই বেঞ্চিটা!
মনে পড়ে কি? সেই প্রথম দিনের স্মৃতি?
দূরত্ব বজায় রেখেই বসে ছিলাম দু'জন;
পুষ্করিণীর জল আজো স্বচ্ছ টলমলে!
শুধু সম্পর্কের ঘোলা জল গড়িয়েছে বহুদূর!
দ্বিতীয়বার যেদিন গিয়েছিলাম সেথায়-
দু'জন বসা ছিল বেঞ্চিটায়।
কাছাকাছি যেতেই বেঞ্চিটা ছেড়ে চলে গেল তারা।
এবার বসলাম দুজন খুব কাছাকাছি!
তারপর স্মৃতিময় সেই মধুর আলাপন।
তারপর......
বৃষ্টির দুষ্টু -মিষ্টি ছুঁয়ে যাবার গল্প।
একই ছাতার তলে আবেগী দুটি প্রান;
উৎসুক লোকেদের সংকোচ, কৌতুহল আর-
দশ-বারো জোড়া চোখের অপলক দৃষ্টি,
সাথে ছিল আবেগী ঝুপঝাপ বৃষ্টি।
পুরো বিকেলটাই কেটেছিল এক ঘোরের মতন।
ধুরুধুরুে বুকে সাহস সঞ্চয় করে সেদিন-
রচিত হয়েছিল অমর কাব্যগাথা, প্রথম তোমাকে ছোঁয়ার অনুভূতি!
প্রাতঃকালে কুড়িয়ে আনা একমুঠো শিউলি ফুলের মতন-
আমার হাতের মুঠোয় পেয়েছিলাম তোমার সুকোমল হাতখানি!
আরাধ্য অর্জনে সুখে মাতোয়ারা মন সেদিন হেসে হেসে-
অধর পরশে করে নিয়েছিল আপন শিউলীফুল ভালবেসে।
শিহরিত চোখ- কম্পিত ঠোঁটে আবেগী আহবানে-
এনে দিয়েছিল প্রেমের জোয়ার বাঁধ ভাঙ্গা এই প্রানে।
আমুদে-বিষাধে বিদায়ের শেষে, হারিয়ে এসেছিলাম আপন হিয়া তোমায় ভালবেসে।
সেই সুখস্মৃতি আজো দাগ কাটে, আজো ভোলায় মন।
ভালবেসে সুখ, ভালবেসেই দুখ করে নিয়েছি আপন।
সব "সুখই"তো নয়তো ভোগের, আসেনা কপাল গুনে।
কিছু "সুখ" আসে বিষাদে জড়ানো, ভোগায় হৃদয় খুনে।
আমি আজ সুখী! সকল সুখে! সুখে থাক চন্দ্রমুখী।
অবুঝ কাব্যের এটাই নিয়তি, এক অরসিক পরিসমাপ্তি।