সে দিন কলিং বেলের শব্দ শুনে দৌড়ে গেলাম
দরজা খুলে দেখলাম তুমি!
কলাপাতা রঙ্গের শাড়ী পরে আছো;
ঠিক যেমনটা দেখেছিলাম শেষ বার....
আমাকে দেখে বললে-
-কেমন আছো?
আমি বললেম,এক রকমের ভালো।
-একি অন্ধকার কেন?
-সন্ধ্যা হয়েছে,ঘরে জ্বালাওনি আলো?
আমি তখনো অবাক, চুপ করে দাঁড়িয়ে
আচমকা আমায় বাস্তবতায় ফেরালে
চোখের সামনে হাতখানি নাড়িয়ে।
আমার তখন কথা ফোঁটলো মুখে
দশ বসন্ত তোমাকে ছাড়া থাকার কথা।
এক কথায়,দু কথায়,আ-কথায়,কু-কথায়,
যে কথা মিশে আছে আমার সমস্ত শরীরে!
আমি যখনি বলতে গেলাম আর..
অমনি তুমি আমাকে,থামিয়ে দিয়ে বললে,
থাকনা সে সব!
না হয় বলো অন্য আর এক দিন।
যে দিন কথার জন্য বেঁচে রবে কথা
ব্যাথার জন্য বেঁচে রবে ব্যাথা।
সেদিন বলো,যে দিন!
আমি আর থাকবো না তোমার জীবন জুড়ে।
বরাবরের মত আমি আবারও
চুপ করে রইলাম।
তাকিয়ে রইলাম তোমার দিকে,
যেমনটা মেঘের দিকে তাকিয়ে থাকে চাতক!
আমি হারিয়ে গেলাম আবারও;
তোমার দেয়া আটকে পরা নিরবতায়।
চামড়ার প্রতি ভাজে ভাজে,রক্তে,মাংশে তুমি।
তুমি কি তাহলে বাস্তবতার ভুল?
মালা খানি বইয়ের ভাজে রাখা ছিলো ঠিকই
শুধু,শুকিয়ে গেছে ফুল।