ছোট্ট সোনা ডিম্পীসোনা, সবার সোনার মেয়ে;
দুষ্টুমিতেও কম যেত না সে অন্য কারোর চেয়ে ।
দিনভর কথার খই ফোটাত, তার বয়স সবে চার,
হঠাৎ করে সেই মেয়ের দেখি, মুখ হয়েছে ভার ।
কি হয়েছে সোনার মেয়ের, তা কেউ তো জানে না,
জিজ্ঞাসা করলে কেঁদে ভাসায়, কিছুই মানে না।
শেষে বাবাই উদ্ধার করে, এ নাকি দুষ্টুমিরই ছল,
ফুঁপিয়ে ওঠে সোনার মেয়ে, হাসে না আর খলখল।
দৌড়ে আসে ঠাম্মি-দাদু, কি হয়েছে সোনা বলো;
কান্না শেষে বলল- কবে, কোথায়, কেন বকা খেল।
গত পরশু স্কুলের মিস দিয়েছিল নাকি এক কাজ;
বড় হয়ে কি হবে সবাই, সব লিখতে হবে আজ।
সকলে লিখেছিল যেমন, আমাদের ডিম্পীও লিখলে,
দেখে তা মিস বকেছিল বলে "এই তুমি শিখলে"?
কেউ চায় ডাক্তার হতে, কেউ বা আবার ইঞ্জিনীয়ার ;
ডিম্পীসোনা চেয়েছিল হতে স্মার্টফোন মা -বাবার।
এই না শুনে, সবাই অবাক, চোখ গোল গোল হলো,
কেন’রে বাছা কি হয়েছে? হঠাৎ এই ইচ্ছা কেন বলো!
আমায় কেউ ভালোবাসো না, স্মার্টফোনকেই বাসো;
আমার সাথে না হেসে শুধু, ফোনটা দেখেই হাসো।
অফিস থেকে ফিরে বাবাই, স্মার্টফোন নিয়ে খেলে,
ফোন আসলেই দূরে করে দাও, আমি কাছে গেলে।
ফোনের জন্য অঢেল সময়, শুধু আমার জন্য নেই,
করো না আদর আমায় তোমরা, আগের মত সেই!
বোধহয় এখন আর সোনা নই, ভয়েই থাকে সবায়;
আমায় আর কেউ চায়না কাছে, ঐ স্মার্টফোনটা চায়।
ঠিক, আমি ঠিক ভেবেছি, আবার বাসবে ভালো সবাই;
বড় হয়ে তাই'তো আমি ওই স্মার্টফোনটা হতে চাই ।।