দিনের শেষে ক্লান্ত রাজপথ রয় দিন বদলের আশায়;
নতুন সকাল, মিশ্র যন্ত্রণায় ফের ডুবে থাকা হতাশায়।
তোর জন্য হা-হুতাশ যত,
ছড়িয়ে দিয়েছি শতাব্দী প্রাচীন ইতিহাসের অ্যালবামে;
সুরঞ্জনা,
আছে শুধু শিশুগাছটা স্মৃতির পাঁচশো বারো এমবি র‍্যামে।

শিশুগাছটা আমাদের কি মা-বাবা বলে ভাবেনি একবারও;
অনাথ হয়েও তো বলেনি সে- যেতে হবে, এবারে ছাড়ো !
না ছাড়লে সেদিন হয়ত,
নতুন যুগের ইতিহাসবিদেরা অন্য প্রেমকাব্য লিখত,
সুরঞ্জনা,
ব্যস্ত রাজপথ ফের সকালের নরম রোদেই জাগত।

বৃক্ষ রোপণ উৎসবে দুজনের মিলিত প্রচেষ্টা ওই শিশুগাছ;
সাক্ষী সেও এই সমান্তরাল সরলরৈখিক প্রেমের আজ।
প্রেমটা সমবাহু ত্রিভূজ হলে,
তুই, আমি আর শিশুগাছ আজ ব্যাবিলন উদ্যানে থাকতাম,
সুরঞ্জনা, (তোর)
সোনালী তনুর মাদকতায় অটোগুলোকে শৃঙ্খলাতে বাঁধতাম।

সাদা কাগজের চিরকূটটা বুক পকেটেই থেকে হলদেটে হয়েছে।
সকলে হেসে বলেছিল - আরে কেস তো জন্ডিস হয়ে গেছে!
আমার প্রেমের বিলিরুবিনগুলো,
বুঝিনি সেদিন কেন যে এভাবে হঠাত বেড়ে গিয়েছিল,
সুরঞ্জনা,
তোরগুলোও কি একইসাথে আমার হৃদয়টা শুষে নিয়েছিল ?

শিশু গাছটা আর শিশু নেই, আজ সে অকাল বার্ধক্যে ভুগছে,
আমার বুকের পাঁজরগুলো আজ সিরিয়ায় ডান্ডিয়া খেলছে ।
চিরকূটটার দশাও জীর্ণ,
সেও দেখি আজ ভগ্নমনে, ভগ্নদোষেতে, অতীব ভঙ্গুর হয়েছে,
সুরঞ্জনা,
বাঁচার জন্য শেষমেষ সেও তোর নামটা বৃষ্টির জলেতে ধুয়েছে ।।