তোমরা যখন শঙ্খধ্বনি দাও, উলুধ্বনি দাও...
এক নতুন প্রাণের আবির্ভাবে.
আমি তখন নিঃশব্দের কান্না শুনতে পাই,
প্রিয়জন হারানোর বেদনাতে।
তোমরা যখন হেসে লুটোপুটি খাও,
আমার দেউলা করা দেখে...
আমি তখন অমোঘ স্বান্তনা দিই,
নিজেই নিজের জন্ম জন্মান্তরের কামনাকে ।
বুঝতে পারলে নাতো ?
আসলে কি তোমরা কিছু বোঝার চেষ্টা কর ?
নাকি সবজান্তার চশমা পরে বিশ্বব্রহ্মান্ডের সব অজানা কথা
সবকিছুই আরো রঙ্গীন করে পড়।
তোমরা যখন সুযোগ পাও
চোখের জলের বন্যায় ভাসার,
আমি তখন শুনতে পাই পর জগতের হর্ষধ্বনি,
আবার এক এক নতুন প্রাণের সূচনার....
নাকি অনেক বছরের নিরুদ্দেশ কারোর ঘরে ফেরার ঘটনার।
ঠিক যেমন, ভ্রূণকালে
সেই তাদের চোখের জলেই সাঁতরে বেড়াই
আমি তোমার জরায়ুতে।
আবার তাই, প্রতি ভালোবাসায়,
তোমার নয়ন বর্ষাতে ভেসে ফিরে যাই আবার উৎসমুখে।
তাই আমি জানি মুদ্রার দুদিকই সমান
তোমরাই বানাও যে তাকে আপেক্ষিক অসমান ।
একই রকম অবিনশ্বর আমি,
সময় বিশেষে পরিবর্তনের ভূমিকাতে নাটকের রঙ্গমঞ্চে থামি,
এবারতো বোঝো, আমি কি ও কেন আসি তোমাদের মাঝে,
তা বোঝাতে,
বল অবুঝের মতো আর কতো নিচে নামি ?
************************************
এই কবিতাটি আমি আসরের প্রিয় ও আমার খুব প্রিয় কবি শ্রী অভিজিত মিত্রকে উৎসর্গ করলাম । এই কবিতার থিমটা আমার মনে অভিজিতদার প্রেরণা । আপনাদের কেমন লাগল জানাবেন ।