ইচ্ছে ছিল,
তোমার ঐ এলো কেশের গহীনতায় ডুব দেওয়ার,  
সদ্যস্নাত রূপোলী শরীরের মাদকতার ঘ্রাণ নেওয়ার।,  
তোমার হৃদয় জুড়ে থাকবো হয়ে নীলকণ্ঠ পাখি,
সুরে সুরভিত করব নির্ঘুম রাতজাগা কাজল আঁখি।

সত্যি জেনো ইচ্ছে ছিল - ও সেনোরিটা !!

তাই,
তোমার নামে আমিও পাঠাই চিঠি, নদীর হাত ধরে,
আমার রক্তিম ভালবাসার ভেলায় ভর করে।
উপনদী রাস্তা দেখাবে তাকে, থেকো অপেক্ষায়,
খবর পাবে মনোপকূলের চিরহরিতের শাখায় শাখায়।

ইচ্ছে ছিল,
ডুব দিতে তোমার ভালবাসার স্বচ্ছ নীল জলে,
বলব ভালোবাসি এই কবিতারই ছলে ছলে।
শুকিয়ে গেলে ভরাব চোখের জলে আবার হৃদয়নদী,
প্রেমাকাশে পাড়ি দেবে আমার হাতখানি ধরি।  

কিন্তু চোখের জলও যে শুকালো আজ – ও সেনোরিটা !!

তাই,  
আর থেকো না তুমি এই আমার অপেক্ষায়,
বয়ে যাও কোন অন্য কোন শাখা নদীর ভালবাসায়।  
শুকনো পাঁকে জমুক আমার হাজার প্রেমের চিঠি,
ভবিষ্যতে লিখবে জেনো আবার নতুন কোন কাব্যনীতি...

ইচ্ছে তবু,  
পারি না সইতে, তবু কেন মিছে চাই শুকতারার পানে,  
অন্তরের সুধা কবেই তো শুকিয়ে গেছে তার আগমনীর গানে।  
বিবেক জ্বালার দংশনে চিরহরিত আজ শীতের পর্ণমোচী,
চিঠিও ডেকে বলে, শোন তোকে শুধু আমিই ভালোবাসি...
  
অল্প অল্প করে দূরে যায় আমার সেনোরিটা ...
এলোকেশী, রূপোলী তনু, নীলাভ চোখ আর দুধের সর পরীটা,
সদ্যস্নাত ফুলেল ঘ্রাণ, আজ অনেক বেশী দামী, জেনেও তবু খাচ্ছি খাবি,
মনফকিরা কানে কানে বলে পাগলা খাবি কি, ঝাঁঝেই মরে যাবি ..