জীবনটা শুকনো কাষ্ঠনদী,  
চোখের উত্তাপে অর্ধেক রস নিংরে নিলে, যেটুকু বাকি ছিল,
নীলাভ হাসির ভাপে তার ষোলকলা পূর্ণ করে নিল,
দামী দামী রঙ, সিল্ক, পেন্ট, সব ফ্যাকাসে
তোমার ঐ মনুষত্ব্যের মেক আপ বক্সের কাছে,
এত কিছু লাগিয়ে কি করে এত চওড়া হাসি হাস ?
শয়তান কে পূজে, কি করে ভালবাসার ভিক্ষা চাও ?
পেছন খোলা থাকুক, তবু তো মাথায় কাপড় দাও।
মানুষ না হয়, একবার ভগবানকে তো ভয় পাও !
  
ব্যস্ত রাস্তায় টিং টং ঘণ্টাধ্বনি, রিক্সার বেশে
এদিকে সেদিকে, আনাচে কানাচে খালি গুঁতো দাও,
ভেবেছ নিজেকে বুঝি পথপ্রদর্শক অমানুষের দেশে ?
জীবাশ্ম নিয়ে কি এত রচনা লেখ কথায় কথায়,
শ্যাওলার সবুজ রঙেরই মানে জানো না...
সেও সালোক-সংশ্লেষ করে, তোমার মতো পরজীবী নয়,
ভুলে গেছ বুঝি, এখন রাস্তা আর শুধু রিক্সার নয়,
অটো করেছে তার রাজত্ত্বের নয় ছয় !!  

কতদিন, আর কতদিন মিথ্যে অহমিকায় ভুগবে,
তোমার বিবেক কি এখনও সাবালক নয়?
যেদিন জাগ্রত বিবেকে আয়নার সামনে দাঁড়াবে,
নিজের নাক কেটে আর অপরের যাত্রা ভঙ্গ করবে না,
যাবে সবাই, প্রিয় আমার, ছেড়ে যাব এই আমি,
বোঝাব তোমাকেও ভালবাসার থেকেও, শঠতা অনেক দামী,
যা শিখিয়েছ তো তুমিই, ঠিক যেমন আজ
আমি কাঙ্গাল আর করছ তুমি রাজ !

দিন বদলের দিনও আসন্ন, শোন ধ্রুবতারার গান,
তোমার এই নশ্বর দেহখানি হয়ে যাবে ম্লান,
নতুন দিনের আশার আলো,
তোমার – আমার সবার ভালো।
দূরে করব তোমার মনের যত কালো।
জ্বালব তোমারই ব্যবহূত জ্ঞানের মশাল, তবুও ,
প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে, চোখে ঠুলি ফেলে তুমি,  
শুধু দেখবে আর জ্বলবে, লুচির মতো ফুলবে !!