সবাই বলে, আমি নাকি ভালো না,
ভালো কিছুতেই লিখতে পারি না,
ভালোর মধ্যেও খারাপ জিনিস খুঁজি,
তা বাপু তোমরাই তো বল সবকিছুই ভালো-মন্দের মিশেল,
ভালো না হয় তোমাদের জন্যই তোলা থাক,
আর মন্দের ভারটা আমিই নিলাম।
শুধু মুখে ভালো বলে আর কি জীবন কাটবে?
চারপাশে যখন নোংরা-আস্তাকুঁড়ের ছড়াছড়ি,
মন্দেরই জয়জয়কার, তখন মন্দটাই খোঁজা বুদ্ধিমানের কাজ,
তবু, তোমরা যদি বোকা বল, তবে চালাকের দলে নাম লেখাও,
আর “ আমাকে আমার মতো থাকতে দাও !! ”
অনেক হল, যুক্তিতক্কো, অনেক দেখলাম,
আধা খালি, আধা ভর্তি গ্লাসের জল,
সত্যি বলত, এসব দেখে তোমাদের পেট ভরছে তো,
আমার তো পেটে গ্যাস... কাঁদুনে, হাসুনে, অপুষ্টির, নাকি স্ত্রোতবাক্যের।
যখন তোমরা মুগ্ধ নয়নে তাজমহল দেখো, আমি দেখতে পাই
সারি সারি কাটা হাতের স্তূপ,
তোমরা যখন মুগ্ধ হয়ে ভিক্টোরিয়া দেখো,
আমি দেখি শ্বেতশুভ্র মার্বেলের তলায় চাপা পড়া কষ্ট, কান্না আর
হাত-পায়ের দগদগে কড়ার লজ্জা ।
সে লজ্জা তোমরা জানো না, বুঝতেও পারবে না,
বুঝি শুধু আমি আর ঐ সুন্দরী পরী,
আমার সাথে সে দেখে মন্দের কারসাজি, তাই
পরীও আজ আর ঘোরে না,
তোমরা ভালবাসার কথা বল,
আমি দেখি উড়ন্ত তারে ঝুলন্ত ফিউজ !!
সেও এক প্রেম, ঝুলতে ঝুলতেই একজনের চুম্বনে অন্যের ইতি,
চলন্ত বাসে ঝুলতে থাকা মানুষ, ল্যাম্পপোষ্টে হালকা চুমু,
সোজা অকাল বোধন, নাকি যমের দুয়ার !!
তোমরা না হয় ভালোবাসো, আমি না হয় ডিভোর্স কেসগুলোর
হিসাব রাখি। তাই নিজেকে বলি –
অন্ধের কিবা দিন কিবা রাত্রি, মন্দের ভালো আবার কি ?
যখন টেলিভিশনে, এ সি গাড়িতে বসে রাস্তা ঘাটে,
অনাথ, ভিখিরি বাচ্চা দেখে হাপুস নয়নে কাঁদ,
আহা রে, আহা রে করে চোখের জল ফেলো,
আবার নিজের দুধেভাতে সন্তানকে ওদের কাছে ঘেঁষতে দেখলে,
গালাগালি দিয়ে সরিয়ে দাও, আমি তখন
ঝুলন্ত তারে উড়ন্ত ফিউজের ভালবাসার পরিমাপ করি...
তাই বলি, তোমরা উপরে উপরে ভালোটা মা্পো,
আর মন্দটা, আমি ভোল্টামিটারে না হয় মেপে দেখব,
ঝুলন্ত তারে উড়ন্ত ফিউজের ভালবাসায়
কতো ভোল্টের প্রেম থাকে ...