"আলোক নিরঞ্জন", "আলোক নিরঞ্জন"
বোকা বাক্সের নাগপাশে বন্দী আজ মনোরঞ্জন,
দুঃখ দারিদ্র চালের ড্রামে রেখে এই বেশ বেঁচে আছি,
হাসির খোলসে গুটিসুটি মেরে, অলীক সুখে গা ভাসিয়ে
খোল-কীর্তন সহযোগে, যোগ-বিয়োগ করে
সকাল সাঁঝে শুধু বলি চল – সব মায়া হ্যাঁয় !!
সুপ্রাচীন কাল থেকে থরে থরে সাজানো ওরা
সময়ের দেওয়াল থেকে খসে পড়েছে দেখো সভ্যতার পলেস্তারা,
মায়া সভ্যতার সোনালী অতীতে জাবর কাটছ কি আজও?
আহা, তখন যদি জন্মাতুম কি ভালই না হত !
কল্পনার বিলাসে গা ভাসাতে আর হা হুতাশে ভরা জীবনে,
অন্য রকম চাওয়া মানেই – সব মায়া হ্যাঁয় !!
"আলোক নিরঞ্জন", "আলোক নিরঞ্জন",
মোক্ষলাভের অক্ষরেখায় মনোনিবেশ করো না ভঞ্জন,
প্রেম, প্রতিবেশী, চাকরী, ব্যাবসা, আশা-নিরাশার মাদুলির আধুলি,
হাঁড়িকাঠে বলি দাও শান্তি, সুখ ও সময়ের কনে দেখা গোধূলি,
ভাগ্যকে হুকে ঝুলিয়ে স্মিতহাস্যে মনের অন্তঃস্থল থেকে
একবার, শুধু এ - ক - বা - র বল - সব মায়া হ্যাঁয় !!
শেষের সেদিন উপস্থিত, আজ বিদুরের চোখেও পড়েছে ছানি,
অম্লান বদনে, গেরুয়া বসনে, শুধু কলুর বলদ টানি,
জানো আসলে, বিদুর ও ধৃতরাষ্ট্র আজ আমাদেরই ভিন্ন নাম?
চোখ ঢেকে পাপস্খালন কর, ভয় কি তুমি তো কাউকে দেখতে পাচ্ছ না,
তবেই তুমি সত্য, তুমিই শান্তির বার্তাবাহক, ধৃত – রাষ্ট্র হও,
আর প্রশান্ত চিত্তে বল – বৎস্য, সবই মায়া হ্যাঁয় !!
************************************
" আলোক নিরঞ্জন " - আসল কথাটি হল - "আলেখ নিরঞ্জন" বা "আলখ নিরঞ্জন", এখানে কবিতার স্বার্থে একটু বিকৃত রূপ করে লেখা হয়েছে।
আলেখ নিরঞ্জন বা আলখ নিরঞ্জন শব্দবন্ধদুটি হিন্দু ও শিখ ধর্মানুসারে এককথায় স্রষ্টার উদ্দেশ্যে বলা হয়ে থাকে।