এক নিঝুম দুপুরে ব্যাঙ্গমা–ব্যাঙ্গমী এসে খোঁজ নিল,
ঠাকুমার ঝুলি থেকে উঁকি দিয়ে বেড়ালটাও বলে উঠল-
আমার রূপকথার গল্পগুলো না জানি কোথায় গেল,
পক্ষীরাজের ডানাটা কে ছাঁটল তা জানো ?  
রাজকন্যা এখনও নাকি ঐ পাতালে বন্দী,
তার আর দেখা পাই না,
একাল – সেকাল মহাকালে একই রকম শুধু রক্তবীজের দল।
অনন্তকাল ধরে কাজ শুধু আঁটা ফন্দী ।।

জিওন কাঠি মরণ কাঠির ছোঁয়া পেতে চেয়েছ কখনো ?
ইচ্ছেরা কখনো মেলেছে ডানা, অমরত্ত্বের খোঁজে ?
এখনও স্পষ্ট স্বপ্নে আমার রাজকন্যার শীৎকার,
অন্যায় আবদারে, অমর সে আজও তার কালশিটের ভাঁজে ভাঁজে ।

তেপান্তরের মাঠে আনমনে হেঁটে গেলে পাবে,
চিলেকোঠার জানলায় উঁকি মারলেও দেখতে পারো,  
বৃষ্টিতে হাঁটুজল রাস্তাটায় এক ছপাত্ করে লাফ,
ব্যস, আর দরকার একমুঠো নিরালা দুপুর,
মায়ের হাতের আলগা বাঁধন একটু শুধু, এ-ক-টু আলগা করে,
সাতরঙা ঘুড়ি, আমের আচার, গুলতি , মার্বেল বা নিদেন পক্ষে,
ছোট্ট বাটিতে শুকনো গুঁড়ো দুধ-চিনি, আহ !!

দেখবে এক নতুন দিগন্ত, রামধনুর রঙে রাতকে রাঙিয়ে,
আলাদিনকে ধরে বেঁধে নয়ত ডাংগুলির লোভ দেখিয়ে
উদ্ধার করে আনি সেই,
হাজার হাজার বছর ধরে অপমানিতা, লাঞ্ছিতা, সকলের প্রেয়সী
রাজকুমারীকে,
রাজকুমারকে তৈরী করে নেব নয় ব্রহ্মার কানের লতি থেকে
আর তারপর দুজনে মিলে  –

নতুন যুগে এক নতুন রূপকথার জন্ম দেব !!
সংশয় একটাই এই দক্ষযজ্ঞে তোমায় কি পাশে পাব ?