গোপাল অতি সুবোধ ছেলে, রাখাল খুব খারাপ,
পড়াশুনোয় গোপাল ভালো, রাখাল বাঁধে ম্যারাপ।
এক বয়স হলেও আজ , ওদের মাঝে আড়িই,
ভালো খারাপ এই দ্বন্দতে, হয়েছে গো ছাড়াছাড়ি ।।
গোপাল বলে সত্যি কথাই, সকলে ভালোবাসে,
রাখাল চলে উল্টোপথেই, সত্যি শুনলে হাসে।
সত্যি মিথ্যার দ্বন্দেও কেউ, কাউকে ছাড়ে নাতো,
মুখোমুখি ঐ দেখা হলেও, কথাও বলে নাতো ।।
সেদিন নাকি গোপাল মা’র, কঠিন ব্যামো হল
ঘাড়ের কাছে কখন যেন, যম দূতটা এল।
ধীরে ধীরেই যাবার দিন এল গোপাল মা’র।
সবার মুখে নামলো দেখি, কালো মেঘের ভার ।।
গোপাল বাবু দূর শহরে, আসতে দেরী হবে,
ছেলের হাতে জল না পেলে মা কাঁদবে নীরবে।
এসব শুনে বাজে রাখাল, হাসপাতালে গেলো,
বললে সেও - এসেছি মা'গো চোখটা তুমি খোল।।
মা’ও বললে, বাছা আমার বস কোলটা ঘেঁষে,
তোমার হাতে জল খেয়েই শান্তিতে যাই শেষে।
বাজে রাখাল জলটা দিল গোপাল মা'র মুখে,
ছেলের হাত ভেবেই মা'তো মরল গিয়ে সুখে ।।
রেগে গিয়েই সবাই মিলে, মারল ধরে ওকেই,
গোপাল সেজে জলটা কেন দিলিরে তুই মিছেই?
গোপাল কেন মিছে হলাম, বল তোমরা সবায়,
জল না দিলে, মা'যে মরত ওর আশায় আশায় ।।
আমিও জানি, সবাই জানো, হোকনা মিছে কথা,
মা' আমাদের সত্যি ভেবেই, সুখেই গেল সেথা ।
ভালো ছেলের সত্যি কথায়, জগৎজোড়া আলো,
মিছে কথাও সময় ফেরে করতে পারে ভালো ।।