আরে ও কাকা, বলি ওখানে হচ্ছেটা কি?
আরে, এটা কি প্রস্রাবের জায়গা নাকি ?
আরে এ ব্যাটা, দেখি শুনেও শোনে না,
বুড়ো বিহারী তো দাদা সেয়ানা কম না।
ও দাদু, দেখিয়ে ইয়ে তো লোকাল ট্রেন,
চোখ কি চালসে নাকি, ভাবছ বুঝি ড্রেন?
দেখেছ, ব্যাটাও ফের নির্গমন শুরু করেছে,
হায়, তোদের জায়গা শুধু নরকেই আছে।
কেয়া রে শালা, কথা কানে যায় না বুঝি?
ওঠ এখুনি, নয়ত দু চার লাথ পেছনে গুঁজি।
বলি, বুড়ো খুড়ো, আরে তুম ইহা ইয়ে কেয়া করতা হ্যাঁয়?
উত্তর পাই শুধু - কেয়া করু বাবু, হাম গরীব আদমি হ্যাঁয় ।।
শুনলেই গা-পিত্তিটা দেখি আমার জ্বলে যায়,
ঘরে সবার সামনেই লিপ্ত হয় গোপন খেলায়।
হলুদ দাঁতে হাসে, খেলে শুধু পকেট কাটার চাল,
যাকেই জিগাই, সেই নাকি মুজফফরপুরের মাল।
ঐ দেখো, দূরে দেখা যায় আর এক হিন্দুস্তানী,
পাশে দেখো, সাথে আছে তার ঐ দুই সেয়ানী।
পুরো শহরটা ওরা ভরল শুধু নোংরার পরতে,
ট্যাক্সি-সাম্রাজ্য কেড়ে নিল নিজেদের হাতে।
চাপলেই মুখ কাঁচুমাচু করে বলে ওঠে ব্যাটা,
“অওর বিশ জাদা বাবু, খড়া থে বয়ঠা বয়ঠা”
ট্যাক্সি চড়ে বলুন সই– ভাই তুম ইয়ে কিউ বোলতা হ্যাঁয় ?
উত্তরও মানানসই - কেয়া করু, হাম গরীব আদমি হ্যাঁয় ।।
ঐ দেখো ছোটলোক যত, এখানে এসেছে আবার,
সব মিটিংএই হাজিরা দেয়, টাকা করতে সাবার।
সীমান্ত চুক্তি, শান্তি চুক্তি, আরও কতো কি বকে,
ঋণের টাকায় দেশটা চালাবে, ধন্য করবে লোকে,
যদি বল, আর কতবার, দেব তোমাদেরকে টাকা?
মোসাহেবের মতো হাসবে, পায়ে পড়বে দেখ কাকা।
মতলবটা একটাই, কি করে বেশী আদায় যায় করা,
তবে এদের সম্পদেই চলে আমাদের প্রথম বিশ্ব গড়া,
যাতে থাকে শুধু ঋণের তলায়, মাথা তুলে না দাঁড়ায়,
দুপক্ষতেই থাকি, জানি ওদের দুঃখই আমাদের হাসায়।
বেচালে চোখ পাকিয়ে বোল, টুমলোগ ইয়েহ কেয়া কড়তা হ্যায় ?
মিঁউ উত্তর পাবে - মাফ কিজিয়ে স্যর, হাম গরীব আদমি হ্যাঁয়।।