চারদিক থেকে ঘিরে ধরেছে লজ্জা
কোনো কাজে মনে জাগে সংশয়
অর্থের প্রবৃদ্ধি পিপড়ার দল চুষে খায়
প্রাণে ভয় বিষণ আতংকে বেলা যায়।
শুকনো রুটি আর আলু ভাজি
ঠিলে ভরা জল খেয়েও
শ্বাস রুদ্ধ হয়ে আসে
কখনো কখনো সেটাও জুটে না কপালে।
বারান্দায় শীতল শয্যা বাবা
এক হাত তুলে আল্লা আল্লা কলরব তোলে
মাথার কাছেই লেংটা নাতি করুণ চোখে
খালি বাটির দিকে চেয়ে থাকে।
বুড়ো বাবা মাথা উঁচিয়ে রাস্তার দিকে চেয়ে থাকে
কখন ছেলে আসবে??
বৌমা যে কখন থেকে উনুনে পানি গরম করছে
চাল ডালের অপেক্ষাকৃত বৌমার চোখ ঝাপসা তখন।
বাড়ির কর্তা দুর থেকে ছেলেকে ডাকে
আয় ব্যাটা আয়
ছেলের চোখ তখন চুকচুক করে
ঝাপিয়ে পড়ে বাবার কোলে।
আদুরে স্বরে বলে বাজান আমার লিখার রুল আনছো??
কর্তার চোখ গভীর সাঁতারে আছড়ে পরে
সেগুন গাছের দিকে তাকিয়ে বলে সামনের হাটে
গাছটা বেচে কিনে দিবো বাজান।
উনুনে মিষ্টি আলু সিদ্ধ হচ্ছে
বুড়ো বাবা খাবার মুখে দিয়ে আবার হাত তোলে
কড়া রোদ্দুরে ঝকমক করতে থাকে
বাড়ির ও পাশের কবরটা।
এই তো সেদিন মাঠে রাশিরাশি ফসল ফলতঃ
কোলা ভর্তি সিদ্ধ ধান ভানতে ভানতে নুয়ে পরলো
বুড়ো মাঠ থেকে এসে বয়সের ভারে শুয়ে পরলো
তার হাত পা এখন অবস।
এখন সভ্যতা এসে ঘিরেছে বাড়ির উঠান আর মাঠে
তাই বলেই তো এই চক্ষু লজ্জা আর অভাব অনটন
চাষের জমি শুকিয়ে ভাটা পরেছে
এখন ছেলের মুখের দিকে চেয়ে থেকে দিন যায়
রাতে ঘরের চালে কুয়াশার স্তুপ ভেঙে ঢাকা পরে শরীর
পেটে খুধা চোখে লজ্জা চুয়িয়ে পরে
যা ছিলো সঞ্চয় সব ফুরিয়ে এখন হয়েছে কাঙ্গাল।