জীবনের দ্রাক্ষাকুঞ্জবনে
আমিও শৃগাল এক ;
প্রথমে ফেলেছি দীর্ঘশ্বাস ।
যাদের ফেনিল পাত্র বারোমাস
পূর্ণ মিষ্ট রসে,
এবং কৌতুকবশে,
হতভাগ্য শৃগালের লোভাতুর দৃষ্টির সম্মুখে,
পানপাত্র তুলে ধরে; ভাবে গৃধ্নু যদি পড়ে ঢুকে,
উচ্চ শাখে পাবে না নাগাল;
অথচ সে নাজেহাল,
উপভোগ্য হবে নাকো কম,
তাদের সে মধুকুঞ্জে যেদিন প্রথম
দিয়েছিনু হানা,
তখনও অজানা
উচ্চশাখে পৌঁছুনোর পথ,
তাই ব্যর্থ মনোরথ,
দীর্ঘশ্বাস ফেলেছি গোপনে ।
‘দ্রাক্ষারস’ হয় তো বলেছি ‘টক’ মনে মনে,
তবু ছিল পণ,
একদিন ওই ফল আমিও করিব আস্বাদন ।
তারপর কঠিন সংগ্রমে গেছে কাল,
অবশেষে পেয়েছি নাগাল ।
এবং দেখেছি টক ! তাই দীর্ঘশ্বাস,
এবার সন্দেহ নয় ; দৃঢ় এ বিশ্বাস ।