ভূত খোঁড়ার ওই মাঠে
যখন দুপুর বেলা রদ্দুরে কাঠ ফাটে,
যেয়ো না কেউ ভুলে;
টুক করে এক ভূত এসে ঠিক
নেবে তোমায় তুলে ।
ভূতের কাটা দিঘি ওটা
তাই তো বলে লোকে,
সেদিন আমি চুপি চুপি
দেখে এলাম চোখে ।
ধূ ধূ করা মাঠ,
দেখেই আমর প্রাণ শুকুলো
ভয়ে হলাম কাঠ ।
ভূতের বাপের নাম ‘আবাগে’
কে না সেটা জানে,
থাকে সে ওইখানে ।
লম্বা পাকা দাড়ি,
পুকুর পাড়ে অশথ গাছটা
ওটাই তো ওর বাড়ি ।
আসল ভূতের মেজাজটা খুব কড়া,
দেখেই আমার চক্ষু ছানাবড়া ।
উল্টো বাগে পা দুটো তার,
লম্বাতে তালগাছ;
পুকুর থেকে ধরছিল সে মাছ ।
জিরজিরে তার হাড় ক’খানা
ডিগডিগে তার পেট,
ধনুক-বাঁকা দেহখানা,
মাথা ছিল হেঁট ।
দেখি নি তার মুখ,
তবুও তার ভয়ে আমার দুরু দুরু বুক ।
ভূতের ব্যাটা কিম্ভূত; সে
খেলছিল ড্যাংগুলি,
শাঁকচুন্নির ছেলে ছিল
গাছের ডালে ঝুলি’ ।
বেহ্মদত্যি বেলগাছেতে
পৈতেখানা গলায়,
খড়ম জোড়া
ছিল গাছের তলায় ।
আশ শেওড়ার ঝোপে বসে
মাংস গেঁথে শিকে,
পেত্নী দেখি কাবাব বানায়
চাউনি আমার দিকে !
দেখেই আমার হৃৎকম্প
সটকে পড়ি ভাই,
ভূতখোঁড়ার ওই দিঘির ধারে
গিয়ে আর কাজ নাই ।