তিন দিন হল আজ
ব্যাঙটার সর্দি,
খবর ঘোড়ার মুখে
পেল তার বড়দি ।
ব্যাঙের আধুলি ছিল
বড়দির বাক্সে ,
আক্কেল সেলামীটা
চলে গেল ট্যাক্সে ।
ব্যাঙের মাসীর ছিল
ছোট খাটো হাতটান,
মিছরির ছুরিটা সে
করেছে চক্ষুদান ।
বিড়াল তপস্বী সে তো
চুনো পুঁটী খায় না,
বাস্তু ঘুঘুকে খাবে
এই তার বায়না ।
ছেলের হাতের মোয়া
নিল তীর্থের কাক,
ডাকাবুকো ছেলেটার
তাই দেখে লাগে তাক ।
গিয়েছে পুকুর চুরি
পায়া-ভারি লোকটার,
সাক্ষীগোপাল এসে
বিবরণ দিল তার ।
গোকুলের ষাঁড় আজ
হ’ল লেজে গোবরে,
ভূষণ্ডী কাক খুশি
এই খাস খবরে ।
সেদিন ছড়িয়ে দিয়ে
উলুবনে মুক্তো,
টাকার কুমির বলে
খাব আজ শুক্তো ।
তার সাথে কাঁঠালের
চাই আমসত্ত্ব,
ভস্মে ঢালবে ঘি
আরও এক সর্ত ।
এক ঢিলে দুই পাখী
মেরে আনে কেষ্টা,
কুরুক্ষেত্র তাই
বেধে গেল শেষটা ।
কুমীরকে খাল কেটে
ডেকেআনা ঠিক নয়,
টাকার গরমে করে
টাকা নিয়ে নয়ছয় ।
স্বখাত সলিলে ডোবে
রাঘব বোয়াল ওই,
আবার এসেছে ফিরে
ঝাঁকেই ঝাঁকের কই ।
ননীর পুতুল বলে
বানাবে তাসের ঘর,
দিন রাত করে কাজ
নাই তার অবসর ।
গোড়ায় গলদ হলে
পড়বে মাথায় হাত,
আকাশ পাতাল ভেবে
কেটে যাবে সারারাত ।
আদা আর কাঁচকলা
সাপে আর নেউলে,
দক্ষযজ্ঞ কাণ্ড
হল ভাঙ্গা দেউলে ।
ঠোঁটকাটা নয় মোটে
কানকাটা লোকটা,
ভুলেছে মাছের মা
পুত্রের শোকটা ।
দুমুখো সাপেরা জেনো
সামনে ঝোলায় টোপ,
জিলিপীর প্যাঁচ পেটে
ঝোপ বুঝে মারে কোপ ।
সোনায় সোহাগা দেখে
আহ্লাদে আটখানা,
গোবরে পদ্মফুল
দেখে না যে তালকানা ।
অমাবস্যার চাঁদ
পাবে কি গড়ের মাঠে,
মগের মুলুকে গেলে
মিলবে চাঁদের হাটে ।
খাজনার চেয়ে যদি
বেশি হয় বাজনা,
অর্ধচন্দ্র দেওয়া
পুলিশের কাজ না ।
ভিজে বেড়ালের মতো
তুলসী বনের বাঘ,
তূষের আগুন জ্বেলে
মাছ ঢাকে দিয়ে শাক।
সাপের পাঁচ পা দেখে
পাথরেতে পাঁচ কিল
মারা হলে, ছুঁড়ে দিন
অন্ধকারেই ঢিল ।
আকাশ কুসুম আর
ডুমুরের ফুল পেলে,
মাছগুলো চটপট
ভাজবে মাছের তেলে ।
চিনির বলদ জেনো
চিনি নিজে খায় না,
গাঁয়ের যোগীরা দেখি
ঠিক ভিখ পায় না ।
সাপটার ছুঁচো গেলা
দেখেছে খয়ের খাঁ,
গিলতে পারে না পুরো
যতই করুক হাঁ ।
শাপে বর নয় জেনো
গরু মেরে জুতোদান,
গা ঢাকা দিতেই হবে
হয় যদি পাঁচ কান ।
চিলে কান নিয়ে যাবে
হলে কান পাতলা,
ঘুঘুর মতই ফাঁদে
পড়ে রুই কাতলা ।
গণেশ উল্টে গেলে
লাল বাতি জ্বলবে,
তার আগে পাততাড়ি
গুটোলে কি চলবে ?
শাঁখের করাত কাটে
যেতে আর আসতে,
রামগড়ুরের ছানা
জানে না তো হাসতে ।
লঘু গুরু জ্ঞান যদি
থাকে অতি মাত্রায়,
বিদুরের খুদ খেয়ো
অগস্ত যাত্রায় ।
বেদে ঠিক চিনে নেবে
হাঁচলেই সাপটা,
ঘরকুনো বলে দিলে
গর্তের মাপটা ।
বাঘ যদি ছুঁয়ে দেয়
হবেই আঠারো ঘা,
দেখো ঠিক পড়বেই
খালেই খোঁড়ার পা ।
ছেড়ে কথা কইবে না
হাটে যদি ভাঙ্গে হাঁড়ি,
গাঁজাখুরি কথা বলে
করে লোকে কান ভারি ।
ঢাক ঢাক গুড় গুড়
না করেই বলবে,
আজকের ছড়াটা কি
পাতে দেওয়া চলবে ?