রুদ্র আকাশ, কাল- বৈশাখী,
ঈশানের মেঘ গরজায়,
জিনসের প্যান্ট ছিঁড়ে দিল কারা
দু’দল মেতেছে তরজায় ।
ধর্ষিতা নারী পথের ওপরে
ছিন্নভিন্ন দেহ তার,
ধূর্ত শিয়াল ঘোরে চারপাশে
আসে না সুযোগ বারবার ।
অভাগিনী মা’র শূণ্যে দৃষ্টি
ক্রন্দসী কাঁদে লজ্জায়,
বন্ধুর বেশে আসিয়াছে যারা
কে আছে কি তালে বোঝা দায় ।
বাতির স্তম্ভে দুলিছে রমনী
বিশ্বেরে করি উপহাস,
শোনো অপরূপ দৃশ্যে বিভোর
নাগরিকদের পরিহাস ।
বীভৎসতায় মিলে মিশে গেছে
রাজধানী আর মুম্বাই,
বিশ্বাস কর, কর বিশ্বাস,
আইনের হাত লম্বাই ।
বজ্র কঠিন আইন দিয়েছি
আর কত তুই পেতে চাস ?
যতবার তোরা ঘা দিবি দুয়ারে
ততবার পাবি আশ্বাস ।
বজ্র কঠিন আইন তো হ’ল
কে বা করে তার পরোয়া !
রক্ষক আর ভক্ষকদের
বোঝাপড়া সে তো ঘরোয়া ।
আইনের ফাঁকে সব গলে যায়
প’ড়ে থাকে শুধু হতাশা,
জগদ্দলের পাথর টলানো
আমজনতার দুরাশা ।
আইনের হাতে আমজনতার
পৌঁছানো বড় শক্ত,
সেখানে যাবার চেষ্টা করলে
অনেক ঝরবে রক্ত ।
ধর্ষণ নিয়ে হল্লা করো না
এবার মিলবে খাদ্য,
ভুখা নাগরিক, এই তোর ঢের
উল্লাসে বাজা বাদ্য ।