বকের বাবার বকবকানি
সইতে নারে চড়াই,
বুলবুলিটা উঠলো বলে
কিসের এত বড়াই।
ময়ূর নাচে পেখম তুলে
গলায় দোলে মোতি,
শালিক যদি মালিক হতো
হতো না এই গতি।
ঘুঘু কাদের ভিটেয় চরে
দেখতে গেল শ্যামা,
চকা-চকী পরেছে আজ
গাঙশালিকের জামা।
বাবুই করে বাবুগিরি
বাবলা গাছে বাসা,
কাঠঠোকরার ঠকঠকাঠক
পোকা ধরার আশা।
ছাতারে কয় ভিজে গেলাম
ছাতা কোথায় পাই,
ব্যাঙ বাবাজীর অনেক ছাতা
একটা আমার চাই।
কোকিল ছানা ককিয়ে মরে
কাকের বাসায় বসে ,
হুতুম প্যাঁচা প্যাঁচ দেখিয়ে
ধমক দিল ক'ষে।।
পান খেয়েছে পানকৌড়ি
ঠোঁট দুখানি লাল,
পায়রা মাথায় টায়রা পরে
বিয়ের লগন কাল।
ময়না চড়ায় গয়না গায়ে
দেখতে যাবে বিয়ে,
গয়না কত রয়েছে তার
টেরিয়ে দেখে টিয়ে।
চন্দনেরই চাই যে ফোঁটা
চন্দনাটার তরে,
কাকাতুয়া ভোজ খেতে যায়
মাছরাঙাটার ঘরে।
শকুনটা ওই বসলো গাছে
ভাগাড় পানে চোখ,
বনমোরগের লাল ঝূঁটিটা
দাঁড়িয়ে দেখে লোক।
হাঁস চলেছে হাসিখুশি
ডাইনে বাঁয়ে দুলে,
ফিঙে পাখি শিঙেটা তার
শিকেয় রাখে তুলে।
ব্যাজার মুখো বাজপাখিটা
বাজখাঁই তার গলা,
'বউ কথা কও' সইতে নারে
নতুন বৌয়ের চলা।
শঙ্খ হাতে শঙ্খচিলের
শাঁখ বাজানোর শখ,
রকম দেখে অবাক হয়ে
উড়লো দূরে বক।