সেই পৌষ সংক্রান্তি সেই খেজুরের পায়েস
টুকরো টুকরো ভালোবাসায় মেশানো
কুয়াশায় ভেজানো চাদরের আহ্লাদ।
মিতাদির বাড়িতে লুকিয়ে আসা,
বাড়ির লাল চোখ এড়িয়ে নিজেকে পাওয়ার জন্য-
টিউশানের শেষে একটু পাশে বসা।
নেতার বাড়িতে রুটিন মাফিকযোগাযোগ
চাকুরি অফার আসবে যে-
পাশে তোমাকে আরও পাবো বলে।
ঘরেতে মা,ক্যান্সারে সামালাচ্ছে সংসার
বাবার পেনশনে চলেছে স্বপ্নের ভেরি
গায়েতে আর উঠে না দামি পারফিউমের ব্র্যান্ডটি।
আমাকে তোমার অবিরাম আশ্বাস আর,
বাড়িতে তোমার অবিরাম চাপ,
মধ্যবিত্তের ভালোবাসা এখন শহীদের ক্লাইম্যাক্
পত্রিকার বিজ্ঞাপনে দেখতে হবে নিজেকে কোন সার্টিফিকেট কোর্সে পিছিয়ে আছি
কর্মখালি বক্সে।
নিজের পায়ে দাড়াবো বিভোর স্বপ্নে
ব্যাংকের ঝণের শর্তে,
মনে পড়ে যায় পাড়ার রঘু পাগলার কথা।
রাত্রির লোডশেডিং-এ ভয় ধরে আমাকে
জীবনের ছন্দ যেন যায় হারিয়ে
ঘাম দিয়ে উঠি শীতের বিছানায়
হঠাৎ মনে পড়ে,আছো তুমি পাগলী
আজও আমার যন্ত্রণার সাথে।
ছোট স্বপ্ন ছিল তোমায় নিয়ে,পাগলী
আমার হাওড়ার নদীর তীরে বসবো,
শব্দের জোড়া দিয়ে তোমায় হাসাবো
রবীন্দ্রকানন পার্কে ফাস্টফুড নিয়ে বসবো।
এইটুকুই নয়, তোমার সাথে পাহাড়ী নৃত্যের তালে
একটু করে যন্ত্রণা মুছে নেবো।
পৌষ সন্ধ্যায় তোমার হাতের পোয়া পিঠে
তুলে দাও মুখে, তখন যেন
মনে হয় সব স্বপ্ন ধীরে ধীরে
জীবন্ত হয়ে উঠছে আমাকে ঘিরে।