বাংলা তুমি স্বাধীন হয়েছ লক্ষ বীরের রক্ত মেখে,
অকাতরে প্রাণ দিয়েছিল তারা শান্তিময় দেশের স্বপ্ন দেখে।
হয়নিকো পূরণ তাদের স্বপ্ন পায়নিকো লোকে স্বাধীনতা,
সুখ শান্তি আসেনি এদেশে এসেছে শুধু বর্বরতা।
হয়নি মুক্ত প্রিয় এই দেশ ছিল দুর্নীতিবাজদের দখলে।
মিথ্যা মামলার ভয়ে মরেছে ন্যায়পরায়ণ সকলে।
ঘুষ দুর্নীতি নীতিবান কাজ দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকের কাছে,
নীতিবান লোক পিছু হটে চলে যদি  সম্মান হানি হয় পাছে।
অযোগ্য লোকে ক্ষমতায় বসে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা,
করেছে পাচার অনায়াসে তারা দেশের কোষাগার হয়েছে ফাঁকা।
অত্যাচারী বিরুদ্ধে কেউ বলতে পারেনি কোন কথা,
কিছু বললেই গলা চেপে ধরেছে হরণ করেছে স্বাধীনতা।
মুক্তি যুদ্ধের চেতনার কথা বলে বেড়িয়েছে যথাতথা,
দেশকে ভালো বাসে নি কখনও সবই মিথ্যা ছলনার কথা।
গুম খুন আর মিথ্যা মামলা দিয়ে কবর দিয়েছিল গণতন্ত্র।
জনগণের সাথে ধোঁকাবাজী ও মিথ্যা কথা ছিল তাদের মূলমন্ত্র।
নিরীহ লোককে অত্যাচার আর চাঁদা বাজী  যাদের নিত্যসঙ্গী,
অন্তরে তাদের ষড়যন্ত্রের জাল নিষ্পাপ তাদের অঙ্গভঙ্গি।
কি আর বলব দুঃখের কথা এই ছিল সারা বাংলাদেশের চিত্র।
মুখের বুলিতে মিথ্যা কথা হয়ে যেত সত্য যেন তারা কত পূত ও পবিত্র।
বুঝেও না বুঝার ভান করে থাকা তাছাড়া কোন ছিল না উপায়,
চুপ করে সব সহ্য করেছে তা না হলে যে জীবন চলে যায়।
অত্যাচারের হার এতই বাড়িল মেনে নেয়নি ছাত্র সমাজ,
রুখতে তাদের গড়লো আন্দোলন নিরস্ত্র হাতেই সাজলো রণসাজ।
দমন করতে হায়েনার দল গুলি চালাল ছাত্রের বুকে।
উম্মাদের মতো গুলি চালিয়ে বুকে খুশি উঠিত  আত্বসূখে।
ফুসে উঠলো সবার শক্ত মনোভাব আর কত সহ্য করবে আযাব,
আর নয় রুখতে হবে এবার দিতে হবে উচিত জবাব।
ছাত্রজনতার একসাথে মিলে চলল সবাই গুলির পাহাড় ঠেলে।
রাখলো বাজি জীবন খানি মরলে শহীদ গাজী হবো বাঁচিলে।
পাখির মতো মারলো মানূষ নিষ্ঠুর স্বৈরচারীর হোতা।
পারেনি দমাতে ছাত্রজনতাকে বীরত্ব যাদের রক্তে গাথা।
জনতা শ্লোগানে কেঁপে উঠলো আমাদের এই বাংলার মাটি।
হটাও এবার স্বৈরশাসক দেশে মাটি করতে খাঁটি।
টিকতে পারেনি জনতার চাপে পালিয়ে গেছে চুপিসারে,
আনন্দের জোয়ার উঠলো সবার মুখের হাসি আর গানের সুরে।
বাংলাদেশের বুকে বারবার হস্তক্ষেপ হয়েছে স্বাধীনতার,
আর যেন না আসে স্বৈরশাসক এটাই প্রত্যাশা সকল জনতার।