পল্লীকবি জসীমউদ্দিন কবর কবিতা লেখে,
পড়তে গেলে আবেগে পানি আসে সবার চোখে।
হৃদয় কাঁপানো পারিবারিক কাহিনী ফুটে তুলেছেন কবি,
কল্পনার মাঝে ভেসে উঠেছে এক হৃদয় বিদারক ছবি।
কবিতা পড়ে কখনো ভাবতাম এটাও কি সম্ভব,
একটি পরিবারে একে একে দুনিয়া ছাড়িল সব।
এমন কাহিনি কিছুটা হলেও আমার জীবনে ঘটে,
একদিন রাতে ঘুম থেকে জেগে বাবা চলছে হেটে।
শৌচাগারে যাবে বদনী লইয়া মা যাচ্ছে তার সাথে,
মাথা ঘুড়ে পড়ে যেতে গেলে মা বাবাকে শোয়ালেন খাটে।
সেইযে শুইলেন উঠিল না আর, ডাক্তার এসে বলে,
সবাই দোয়া করো, চাচা গেছে দুনিয়া ছেড়ে চলে।
কয়েক বছর পর মা আমার ঠিক একই ভাবে,
ভাবিনি কখনো, এতিম করে সেও আমাদের ছেড়ে যাবে।
দুলাভাই কত আদর করিত আমার সব ভাইবোনেকে,
শোকে ভাসিয়ে সেও চলে গেছে এই পৃথিবী থেকে।
বটগাছের ছায়ার মতো সবাইকে আগলে রাখত আমার বড় ভাই,
করোনার আঘাতে সবাইকে কাঁদিয়ে তিনিও দুনিয়ায় নাই।
আমার ছোট ফুফু রাখিত মোদের আদর যত্ন করিয়া,
একদিন খবর এল তিনিও গেছেন এই দুনিয়া ছাড়িয়া।
দাদা দাদি দুনিয়া ছেড়েছেন আমার জন্মের আগে,
তাদের আদরের কোন অংশ জোটেনি আমার ভাগে।
বাংলার হাজারো পরিবারে এরকম বিরহ ঘটে,
হুবহু না হলেও কবিতার মত কিছুটা সত্য বটে।
আল্লাহর কাছে মোনাজাত করি, হে রহমান দয়াময়।
আমার মৃত প্রিয়জনদের যেন বেহেশত নছিব হয়।