এক বছর পরে কোরবানির ঈদ এলে,
বড় গরু কিনতে হবে মনে মনে বলে।
তা নাহলে থাকবে না আমাদের প্রেস্টিজ,
সাথে একটা কিনতে হবে বড় ডিপ ফ্রিজ।
নামাজ আদায় করেনা যদিও ঠিকঠাক,,
নিতে তো হবেই একটা কোরবানির ভাগ।
ছোট ছেলের গরুর মাংস শরীরে সয় না,
বউ তাই ধরেছে একটা খাসি কেনার বায়না।
সবই কিনব চিন্তা কিসের টাকা অভাব নাই,
রহিম মিয়া চলতো দেখি আগে হাটে যাই।
হাট থেকে কিনে আনলো মস্ত বড় ষাঁড়,
গলায় মালা শিংয়ে কাপড় নানা রং বাহার।
লোকে জিগায় কিগো বাপু গরুর দাম কত?
বুক ফুলিয়ে বলে, পঁচানব্বই হাজার পাঁচ শত।
মনে মনে ভাবে গরুর মাংস হবে কয় কেজি,
চার মণ তো হবে, বুঝাই যায় গরু খুবই তেজি।
গোস্ত কাটা শেষে যখন করিবে ভাগ বণ্টন
সারা বছর খেতে হবে, ফ্রিজে রাখি দুই মণ।
আত্মীয় স্বজন সবাই তো গরু কোরবানি দেয়,
তাদের কাউকে গরুর গোস্ত তাই না দিলেও হয়।
ছোট কয়েকটি প্যাকেট করি ফকির মিসকিনের জন্য,
অতটুকু গোস্ত পেলেই তারা হবে অনেক ধন্য।
এই হচ্ছে আমাদের বড় লোকের কোরবানি,
আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন, এর আসল উদ্দেশ্য জানি।
এখন আমরা কি করছি তা ভেবে দেখ ভাই,
প্রেস্টিজ রক্ষা আর উদরপূর্তি, আসল কাজই নাই।
আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সবার কোরবানি করা,
তাই এমন যেন না হয় শুধু নিজের পেট ভরা।
গরীব দুঃখী সবাই যেন কোরবানির গোস্ত পায়,
এমন ভাবে কোরবানি কর, যেন আল্লাহ সন্তুষ্ট হয়।