"রমজানের ঐ রোজা শেষে এল খুশির ঈদ"
আব্বাসউদ্দীন গানটি লেখার দেন তাকে তাগিদ।
তাগিদ পেয়ে কাজী নজরুল বলেন তাকে হেসে,
ইসলামিক গানের ব্যবসা চলবে কি এই দেশে?
ছয় মাস ধরে কাজী নজরুলকে অনুরোধ করিলেন,
অবশেষে প্রিয় কবি আব্বাসউদ্দিনকে বলিলেন,
আচ্ছা লিখবো, ভগবতী বাবুকে করাও তুমি রাজি।
তাহলে আমি ইসলামিক গান লিখে দিচ্ছি আজই।
ভগবতী বাবু রেকর্ড করিতে চায় হতে না রাজি,
হিট হবে গান নাছোড়বান্দা ধরিতে চাইলেন বাজী।
তার অনুনয় বিনয়ে ভগবতী বাবু আকৃষ্ট হয়ে,
বললেন, সুন্দর একটা ইসলামিক গান লিখতে বল গিয়ে।
খুশি হয়ে আব্বাসউদ্দীন এলেন কবির বাড়ি,
দাবা খেলায় মগ্ন কবি, কবিতা লেখা ছাড়ি।
ভগবতী বাবু হয়েছেন রাজি গান লিখে দেন আগে,
কথাগুলো যেন খুব সুন্দর হয়, মধুর মতো লাগে।
কাজী নজরুল ডুকলেন ঘরে বসিয়ে রেখে তাকে,
আধা ঘণ্টায় গান লিখিলেন কল্পনাতে এঁকে।
ফিরে এসে ধরিয়ে দিলেন গানের কাগজ খানি,
নিজেই বসে দেখিয়ে দিলেন গানের সুর বাণী।
সুর সম্রাট আব্বাসউদ্দীন গাইলেন ঈদের গান,
বাংলাতে আজ গানের জগৎ পেল নতুন প্রাণ।
ঈদ করিতে আব্বাসউদ্দীন গেলেন গ্রামের বাড়ি,
মনের মাঝে দুশ্চিন্তা দিচ্ছে তাহার আড়ি।
ঈদের পরে ফিরে এলেন কলিকাতা শহরে,
দেখেন লোকে গাইছে যে গান বহরে বহরে।
ও মন, রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ,
আপনাকে আজ বিলিয়ে দে শোন আসমানী তাগিদ।
সেই থেকে আজ অব্দি রমজান মাসের শেষে,
চান রাত্রিতে একটি সুরই বাংলার বাতাসে ভাসে।