ও মেয়ে!
তুই শিখেছিস নম্র-ভদ্র হতে
শিখেছিলি আস্তে কথা বলতে
শিখেছিস কষ্টকে লুকিয়ে রেখে কাঁদতে
জেনেছিলি বয়ে চলতে হবে জীবনধারা
জেনেছিস নিষেধের বেড়াজালে তোরই নিরাপত্তা।
আমি জানি...
ওদের মতই তোরও বাঁচতে ইচ্ছে হয়
মন কখনোও চায়, নির্জন পথে একাকী চলতে
সোনালি রোদ মেখে পাখীদের গান শুনতে
একলা ছাদে তারাদের সাথে মনের কথা বলতে
দামাল হয়ে সাগরের ঢেউয়ে ভাসতে
শৈশবের বন্ধুকে বুকে জড়িয়ে
স্মৃতির বাঁকে ফেলে আসা সময়কে খুঁজে পেতে।
জানিস না রে মেয়ে
নিয়ম ভাঙ্গার দুর্বিষহ জ্বালা
কেউবা ভাবে সহজলভ্যা তোকে
কেঊবা তাকায় সন্দেহের বশে
তোকে নিয়েই অলীক ভাবনা চলে
আড়চোখেতে অনেকেই তোকে দেখে
দেখে দেহবিভঙ্গ, অধর ...
খোঁজে লাস্যময়ী শরীরী ভাষা...
শরীর কি কথা বলে তোর ?
ও মেয়ে! জানিস না তুই ?
তোরও একটা শিরদাঁড়া আছে !
তোকে চলতেই হবে একটু সোজা হয়ে
জিতবিই তুই লক্ষ্য সোজা হলে
কাঁদবি কেন? বলবি স্পষ্ট কথা
দেখবি তখন জগত পাশে আছে।